বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ প্রযোজনায় ঢাবি সাংস্কৃতিক সংসদের গীতিনৃত্যনাট্য পরিবেশনা
বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত দুই বাংলার বৃহত্তম সাংস্কৃতিক আয়োজন “গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব-২০২২” এর মঞ্চে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদের (ডিইউসিএস) বিশেষ পরিবেশনা গীতিনৃত্যাভিনয় "প্রকৃতি বিচিত্রা" মঞ্চস্থ হয়েছে। ডিইউডিএস দ্বিতীয়বারের মতো এই জনপ্রিয় সাংস্কৃতিক উৎসবে অংশ নেয়।
রবিবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় সংগীত, আবৃত্তি ও নৃত্যকলা মিলয়নাতনে' পরিবেশনাটি মঞ্চায়িত হয়েছে।
হেমন্তের সন্ধ্যায় হালকা ঠাণ্ডা বাতাস, মৃদু শীত আর বিবর্ণ প্রকৃতিতে যেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ "প্রকৃতি বিচিত্রা"র মাধ্যমে আবহমান বাংলার চিরায়ত সংস্কৃতিকে ফুটিয়ে তুলেছে। দর্শকরাও দারুণ উপভোগ করেছে এই গীতিনৃত্যাভিনয়ের রুপ-রস-সৌন্দর্য।
দেবজ্যোতি বিশ্বাসের নির্দেশনায় গীতিনৃত্যাভিনয়ের সহ-নির্দেশনা প্রদান করেছেন অন্তরা আক্তার, নাহিয়ান রায়হানা প্রাপ্তি। নৃত্য পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় ছিলেন অন্তরা আক্তার,মূর্ছনা দেবনাথ,হৃদয় সাহা এবং অভিনয় নির্দেশনায় ছিলেন এ এইচ এম নূরে হাবিবা।
প্রযোজনাটির নির্দেশক দেবজ্যোতি বিশ্বাস বলেন, তপ্ত রোদের ঝলমলে রশ্মি, রৌদ্রহীন জলের ছিটা, শুভ্র কাশবনের দোলা, ধানের ডগায় শিশির শুকোতে শুকোতে প্রকৃতির রাজবৈচিত্র নিয়ে পরিস্ফুটিত হয় বাংলা মায়ের রূপ। "প্রকৃতি বিচিত্রা" সেই রূপ-লাবণ্যের আলোকে বাংলার গ্রামীন জীবনে করুণরসের সঞ্চার করে বাংলার প্রকৃতির উত্থান পতন ফুটিয়ে তুলেছে। সৃষ্টিরাজি যে ছন্দতালে প্রকৃতিদেবীর আশীর্বাদে সৃষ্ট হয়েছে; এর মধ্য দিয়েই প্রকৃতির বিচিত্র পদযাত্রা আরম্ভ হয়। এই পরিবেশনার মধ্য দিয়ে আমরা সেই বিচিত্র রূপ মঞ্চে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ দ্বিতীয়বারের মতো এই সাংস্কৃতিক উৎসবে অংশগ্রহণ করছে জানিয়ে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক জয় দাস বলেন, গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব দুই বাংলার সংস্কৃতিকর্মী ও সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষদের মিলনমেলা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ সবসময় শুদ্ধ বাংলা সংস্কৃতির চর্চা করে। তাই বাংলার উৎসবে আমরা স্বতস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করতে স্বাচ্ছ্যন্দবোধ করি। আশা করছি ভবিষ্যতেও এই উৎসবে আমরা সম্পৃক্ত থাকবো।
উল্লেখ্য, গত ২১ অক্টোবর শুরু হওয়া এ উৎসব চলবে আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত। এবারের উৎসবে বাংলাদেশ ও ভারতের ১২২টি সাংস্কৃতিক সংগঠনের আনুমানিক ৪ হাজার শিল্পী অংশ নিচ্ছেন। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, শিল্পকলা একাডেমি এবং আইএফআইসি ব্যাংকের সহযোগিতায় গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব-২০২২ উদ্যাপিত হচ্ছে। বাংলাদেশ শল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তন, পরীক্ষণ থিয়েটার হল, স্টুডিও থিয়েটার হল, সংগীত আবৃত্তি ও নৃত্য মিলনায়তন এবং বাংলাদেশ মহিলা সমিতির ড. নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে চলবে এ উৎসব।