তিনবার ক্যানসারের সাথে লড়ে চলে গেলেন চবি ছাত্র সাইমুম
তিনবার ক্যানসারকে জয় করেছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. সাইমুম রহমান (সাইমুম ইফতেখার নামে পরিচিত)। আর তাই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে, শিক্ষক, সহপাঠী, বন্ধুবান্ধব এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই তাঁকে চিনত ‘ক্যানসার যোদ্ধা’ হিসেবে।
যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী সাইমুম ২৬ বছর বয়সে আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাতটার পরে মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ক্যানসারেই মৃত্যু হলো তাঁর।
২০১৫ সালে সাইমুমের বোন ক্যানসার ধরা পড়ে। সে সময় তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়জীবন শুরু। ক্যানসারে আক্রান্ত হলেও পড়াশোনা চালিয়ে যান সাইমুম। তিনি যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে স্নাতকে প্রথম শ্রেণিতে তৃতীয় হন। স্নাতকোত্তরে ভর্তি হলে তাঁর শরীরে আবারও ক্যানসার ফিরে আসে।
আরও পড়ুন: আশা ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার বহিষ্কার
বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার পর তিনবার ক্যানসারকে জয় করেন সাইমুম। গত দুই সপ্তাহ আগে ভারতের চেন্নাইয়ের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে তিনি দেশে ফেরেন। কয়েক দিন আগে শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। এরপর তাঁকে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মারা গেলেন তিনি।
সাইমুম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি লেখালিখি, অনুবাদ ও ছোটকাগজ সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর বাবা মমতাজুল হক অবসরপ্রাপ্ত রেলওয়ে কর্মকর্তা ও মা কহিনুর বেগম গৃহিণী।
আজ জোহরের নামাজের পর নগরীর টাইগার পাস এলাকার মামু ভাগিনা মসজিদে তাঁর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর গ্রামের বাড়ি সাতকানিয়া মৌলভীর দোকান এলাকায় রুস্তমপাড়ায় দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।