মানা হয়নি নির্দেশনা, দুর্যোগকালেও চবিতে নেয়া হলো পরীক্ষা
প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর কারণে দুর্যোগপূর্ণ এলাকাসহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ২৫ অক্টোবরের সকল পরীক্ষা স্থগিতের নির্দেশ দেয়া হলেও, দুর্যোগকালেও ৬০ শিক্ষার্থীকে বাদে দিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আরবি বিভাগে অনুষ্ঠিত হয়েছে মাস্টার্স পরীক্ষা।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) মাত্র ৩১ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে আরবি বিভাগের মাস্টার্সের ৫০৩ নম্বর কোর্সের পরীক্ষা সম্পন্ন করে বিভাগ কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়া উপকূলীয় অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে পরীক্ষা স্থগিতের দাবি জানান সহপাঠীরা। কিন্তু এরপরও কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে মাস্টার্সের ৯১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা বয়কট করেন। পরে ৩১ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে পরীক্ষা নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থগিত পরীক্ষা রোববার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরবি বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে অনেক শিক্ষার্থীই স্বপরিবারে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছিলেন। এসব বিষয় বিভাগের শিক্ষকদের জানানোর পরও পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। এক পর্যায়ে আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের পক্ষে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা বয়কট করলেও পরে শিক্ষকদের বিভিন্নরকম চাপের মুখে কিছু শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে বাধ্য হন।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে আরবি বিভাগের সভাপতি ড. মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রে কেউ আটকা পড়লে সেটা আমাদেরকে জানাতে হবে। কিন্তু এটা আমাদেরকে কেউ জানায়নি। এ ব্যাপারে কেউ আমাদেরকে কোনও তথ্য দেয়নি।
তিনি উল্টো অভিযোগ করে বলেন, তারা পরীক্ষা না দেওয়ার জন্যই মূলত ঘূর্ণিঝড়ের অজুহাত দেখিয়েছে। বিভাগের সকল শিক্ষকদের সঙ্গে মিটিং করেই আমরা পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।