২২ অক্টোবর ২০২২, ১৭:৩৬

বিশ্ববিদ্যালয় র‌্যাংকিংয়ে রাজনীতি রয়েছে: শিক্ষা উপমন্ত্রী

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী  © ফাইল ছবি

বিশ্ববিদ্যালয় র‌্যাংকিং নিয়ে আন্তর্জাতিক রাজনীতি রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি বলেছেন, আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ার ইংরেজি ভাষা ভাষীর বিশ্ববিদ্যালয় গুলো এই র‍্যাংকিং এ এগিয়ে থাকে। শনিবার (২২ অক্টোবর) আয়োজিত গবেষণা ও প্রকাশনা মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংকিংয়ে বিশ্ব রাজনীতি রয়েছে। এর মাধ্যমে বর্তমানে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে উচ্চশিক্ষায় একটি বাজার ব্যবস্থাও প্রবর্তিত হয়েছে। আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ার ইংরেজি ভাষা-ভাষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো উচ্চশিক্ষাকে বাণিজ্যিকিকরণ করে এই র‌্যাংকিংয়ে এগিয়ে রাখে। এ বাণিজ্যিকিকরণে প্রভাবিত হয়ে কিছু প্রতিষ্ঠান এসব র‌্যাংকিং প্রকাশ করে।

বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় পার্থক্য রয়েছে উল্লেখ করে উপমন্ত্রী বলেন, পাশ্চাত্যের এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অধিক পরিমাণে ফি আদায় করে। যার ফলে আর্থিকভাবে শক্তিশালী এসব বিশ্ববিদ্যালয়গুলো র‌্যাংকিংয়ে এগিয়ে থাকে।

আরও পড়ুন: ঢাবি অ্যালামনাইদের দানশীল মনোভাব জরুরি: শিক্ষা উপমন্ত্রী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো শুরু হলো গবেষণা ও প্রকাশনা মেলা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উপলক্ষে আজ শনিবার ও আগামীকাল রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে দুই দিনব্যাপী এ মেলা অনুষ্ঠিত হবে।

মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নওফেল আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা এখন বিশ্বমানের। সুতরাং আমরা দেশীয় গবেষণা শিল্পকাজে ব্যবহার করতে পারি। আমরা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কাজে লাগিয়ে এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ গবেষণা মেলার মাধ্যমে গবেষণার গতি তরান্বিত হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে তিনি বলেন, প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমে একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান হবে। একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যানের ভিত্তিতে অবকাঠামোগত মাস্টারপ্ল্যান হবে। প্রথমে একাডেমিক গোল সেট করতে হবে, সেখানে গবেষণার বিষয়টি থাকবে এবং তার সাথে আনুষঙ্গিক বিষয় হল অবকাঠামো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, সারা পৃথিবীতে গবেষণার কাজটি সরকারের বরাদ্দের উপর ভিত্তি করে হয় না। পাশ্চাত্যের এবং পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা দিক তাকালে আমরা পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ দেখতে দেখতে পাই। আমাদের দেশে প্রাইভেট সেক্টরের অংশ গ্রহণটা বাড়াতে হবে।