অধ্যক্ষ জানেনই না পরীক্ষা স্থগিত, প্রশ্নপত্র আনার ৩০ মিনিট পর ফেরত
অধ্যক্ষ জানেনই না পরীক্ষা স্থগিত। থানা থেকে কলেজে প্রশ্নপত্র নিয়ে যাওয়া হয়। এর ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পর প্রশ্নপত্রগুলো থানায় ফেরত পাঠানো হয়েছে। গতকাল বুধবার এমন কাণ্ড করেছেন বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রহিম।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পূর্বনির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজ কেন্দ্রে ডিগ্রি পাস কোর্সের ব্যবস্থাপনা বিষয়ের ষষ্ঠ পত্রের পরীক্ষা ছিল গতকাল বুধবার। দুপুর দেড়টা থেকে এ পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। এতে অংশ নেওয়ার কথা ১৪ পরীক্ষার্থীর। তবে গত মঙ্গলবার রাতে পরীক্ষাটি স্থগিত করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অথচ দুপুর ১টার দিকে অধ্যক্ষ আব্দুর রহিম পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক প্রভাষক মোজাফ্ফর আলীকে প্রশ্নপত্র আনতে থানায় পাঠান।
তিনি থানা থেকে প্রশ্নপত্র নিয়ে যাওয়ার ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পর বিষয়টি জানাজানি হয়। তখন আবার প্রশ্নপত্রগুলো থানায় জমা দিতে পাঠান অধ্যক্ষ।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে বাধ্যতামূলক মাস্টার্স করতে হবে সরকারি কর্মকর্তাদের
পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক প্রভাষক মোজাফ্ফর আলী বলেন, 'প্রিন্সিপাল স্যার আমাকে পাঠালে থানা থেকে প্রশ্নপত্র নিয়ে আসি। পরীক্ষা স্থগিতের বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না। প্রশ্ন আনার আধা ঘণ্টা পর আবার থানায় নিয়ে রেখে এসেছি। আমি খাম খুলিনি।'
বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম জানান, ডিগ্রি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র থানা হেফাজতে রাখা হয়।
দায়িত্বরত কর্মকর্তারা এসে প্রশ্নপত্র নিয়ে যান। গতকাল পরীক্ষা না থাকার পরও প্রশ্নপত্র নিয়ে যাওয়া হয়। পরে আবার থানায় জমা দিলে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে ডেকে ট্রাঙ্কের মধ্যে রাখা প্রশ্নপত্রের প্যাকেট দেখানো হয়েছে। প্লাস্টিকের প্যাকেট ঠিকঠাক রয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু তৌহিদ বলেন, প্রশ্নপত্র নিয়ে যাওয়ার এক ঘণ্টা পর তাঁকে খবর দেন থানার ওসি। পরে থানায় গিয়ে প্রশ্নপত্রগুলো যাচাই-বাছাই করেছেন তিনি। প্রশ্নপত্র রাখার প্লাস্টিকের প্যাকেট অক্ষত রয়েছে।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একি মিত্র চাকমা জানান, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে দিয়ে বিষয়টি যাচাই-বাছাই করানো হয়েছে। সব ঠিকঠাক রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।