নিজের পছন্দে বিয়ে, ৩ মাস পর গলায় ফাঁস নিলেন রাবি ছাত্রী
বিয়ের তিন মাস পর গলা ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ছন্দা রায় নামের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক ছাত্রী। মৃত্যুর আগে তিনি একটি চিরকুট লিখে যান - আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। তিনি রাবির অর্থনীতি বিভাগের ২০১৫-১৫ সেশনের ছাত্রী ছিলেন।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় ঢাকার মুগদা থানার মানিক নগর এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ছন্দার বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলায়। তার স্বামী উত্তম কুমার রায়ের সঙ্গে ঢাকার মুগদায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।দুসপ্তাহের মধ্যে তার স্নাতকোত্তরের ফল প্রকাশের কথা।
ছন্দা রায়ের মেজ বোন দ্বীপা রায় বলেন, ‘তিন মাস আগে পছন্দের ছেলের সঙ্গে তাকে বিয়ে দেই। তার স্বামী উত্তম কুমার বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-পরিচালক হিসেবে কর্মরত। চাকরি সূত্রে স্বামীর সঙ্গে ঢাকায় থাকতো আমার বোন। সোমবার বিকেলে নিজ রুমের ফ্যানের রডের সঙ্গে ওড়না পিছিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার বোন মৃত্যুর আগে একটি সুইসাইড নোট লিখে গেছে। তাতে লিখা ছিল- আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। আমি তার হাতের লেখার সঙ্গে মিলিয়ে দেখেছি এটা ওরই হাতের লেখা।’
আরও পড়ুন: সিলিন্ডার গ্যাসের আগুনে দগ্ধ কলেজ শিক্ষিকার মৃত্যু
ছন্দা রায়ের স্বামী উত্তম কুমার রায় বলেন, ‘আমি অফিস থেকে দুপুরে ছন্দাকে বারবার ফোন দিচ্ছিলাম। কিন্তু সে রেসপন্স করেনি। বিকেলে এসে দরজা ভেতর থেকে আটকানো ছিল। বারবার বলার পরও দরজা না খুলছিল না। আমি বাসার কেয়ারটেকারকে নিয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখি আমার স্ত্রী সুইসাইড করেছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুগদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দিন মীর বলেন, সোমবার বিকেলে ছন্দা রায় নামের এক নারী আত্মহত্যা করেছে বলে খবর পাই। ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। মরদেহ উদ্ধারের সময় একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত চলছে।
ওসি আরও বলেন, একটি ইউডি মামলার এজাহার দিয়েছে তার পরিবার। আমরা মামলা নথিভুক্ত করেছি। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থীরা তার মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করছেন। সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিচারের দাবিতে মঙ্গলবার দুপুরে মানববন্ধন করবেন তারা।