ঢাবির ৫৩তম সমাবর্তন: আবেদন করবেন যেভাবে
প্রায় আড়াই বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ৫৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগামী ১৯ নভেম্বর সমাবর্তনের সাজে সাজবে ঢাবি। এবার সমাবর্তনে অংশ নিতে পারবেন অধিভুক্ত সাত কলেজের গ্রাজুয়েট শিক্ষার্থীরা।
ঢাবির ৫৩তম সমাবর্তনে অংশগ্রহণের জন্য আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর সকাল ৮:০০টা থেকে ১৬ অক্টোবর রাত ১১:৫৯ মিনিট পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ বিষয়ে একটি নোটিশ প্রকাশ করেছে। এবারে ৫৩তম সমাবর্তনে বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নোবেল বিজয়ী ফরাসী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. জ্যাঁ তিরোল।
৫৩তম সমাবর্তন এর রেজিস্ট্রেশন ফি অনলাইনে বিকাশ এবং সোনালী ব্যাংকের সোনালী সেবার মাধ্যমে প্রদান করা যাবে। প্রক্রিয়াটি পাঁচটি ধাপে সম্পন্ন করতে হবে। সবকটি ধাপ সম্পন্ন হবার পরেই কেবল রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলে বিবেচিত হবে।
প্রথমে রেজিস্ট্রেশনের জন্য এই ওয়েবসাইটে ক্লিক করতে হবে। আবেদন করা যাবে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর সকাল ৮:০০টা থেকে।
যেভাবে সমাবর্তনে অংশগ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীরা আবেদন করবেন-
ধাপ-১: ৫৩তম সমাবর্তনে অংশগ্রহণে গ্র্যাজুয়েটকে প্রথমে ওপরের সাইটে প্রবেশ করে সাইন আপ মেনুতে ক্লিক করে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করার মাধ্যমে একটি একাউন্ট খুলতে হবে। একাউন্ট খোলার পর লগইন মেনুতে ক্লিক করে দ্বিতীয় ধাপে যাওয়া যাবে।
ধাপ-২: এই ধাপে গ্র্যাজুয়েটরা তাদের সব তথ্য সরবরাহ করবেন। তৃতীয় ধাপের জন্য প্রসিড টু পেমেন্ট বাটনে ক্লিক করতে হবে। অসম্পূর্ণ আবেদন সেভ করে রাখা যাবে এবং পরে ঢাবির লিংকের ঠিকানায় গিয়ে লগ-ইন করার মাধ্যমে এই ধাপে ফিরে এসে বাকি তথ্য সরবরাহ করা যাবে। লগ-ইন করার জন্য প্রথম ধাপে সরবরাহ করা ইউজার নেইম (ইমেইল এড্রেস) ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম ধাপে থাকা আবেদনকারীও লগ-ইন করে যথাক্রমে উক্ত ধাপগুলোতে ফিরে আসতে পারবেন।
ধাপ-৩: এই ধাপে আবেদনকারী প্রথমে নিবন্ধন ফি জমা দেওয়ার মাধ্যম নির্ধারণ করবেন। বিকাশের মাধ্যমে ফি জমা দিতে চাইলে বিকাশের ওয়েবসাইটে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখান থেকে যেকোনো বিকাশ একাউন্টের মাধ্যমে ফি জমা দেওয়া যাবে। সোনালী ব্যাংকের সোনালী সেবার মাধ্যমে ফি জমা দিতে চাইলে পিডিএফ ফরমেটে একটি পে-স্লিপ দেওয়া হবে। এই পে-স্লিপটি প্রিন্ট করে সোনালী ব্যাংকের যেকোনো শাখায় (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ব্যতীত) ফি জমা দেওয়া যাবে। পে-স্লিপের আবেদনকারীর অংশটি পরবর্তী ধাপগুলোতে ব্যবহারের জন্য যত্ন সহকারে সংরক্ষণ করতে হবে। ফি জমা হয়ে গেলে আবেদনকারী স্বয়ংক্রিয়ভাবে চতুর্থ ধাপে পৌঁছে যাবেন। আবেদনকারীকে অবশ্যই ১৭ অক্টোবর (সোমবার) ব্যাংকিং সময়ের মধ্যে বিকাশ অথবা সোনালী সেবার মাধ্যমে নিবন্ধন ফি জমা দিতে হবে।
ধাপ-৪: চতুর্থ ধাপে থাকা আবেদনকারী জেনারেইট ফরম'স অ্যান্ড রিসিপ্টস বাটনে ক্লিক করার মাধ্যমে পঞ্চম ধাপে যেতে পারবেন। তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপে থাকা আবেদনকারী এডিট ইনফরমেশন বাটনে ক্লিক করে নির্দিষ্ট কিছু তথ্য সংশোধন করতে পারবেন। অসংশোধনযোগ্য তথ্যে ভুল থাকলে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া নতুন করে শুরু করতে হবে। পঞ্চম ধাপে পৌঁছে যাওয়া আবেদনকারী কোনো ক্রমেই তার প্রদান করা তথ্য সংশোধন করতে পারবেন না।
ধাপ-৫: এই ধাপে আবেদনকারী নিম্নলিখিত আবেদনপত্র ও রশিদসমূহের পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করতে পারবেন:
১) সমাবর্তনের নিবন্ধন এবং মূলসনদ উত্তোলনের আবেদনপত্র
২) আবেদনপত্র জমাদানের রশিদ
৩) কস্টিউম গ্রহণের ফরম
৪) গ্রহণকৃত কস্টিউম ফেরত দেওয়ার রশিদ
৫) গিফট গ্রহণের ফরম
৬) ফি জমা দেওয়ার রশিদ (শুধুমাত্র বিকাশের মাধ্যমে ফি জমাদানকারীদের জন্য)।
৫৩তম সমাবর্তনে অংশগ্রহণকারী গ্র্যাজুয়েট স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সব প্রক্রিয়া সম্পন্নের পর ফি জমা দেওয়ার রশিদ/পে-স্লিপের আবেদনকারীর অংশসহ তার আবেদন ফরমটি আগামী ২০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বিকেল ৪টার মধ্যে ঢাবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের অফিসের ৩০৯ নম্বর কক্ষে জমা দিতে হবে। তবে অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের সমাবর্তনে অংশগ্রহণকারী গ্র্যাজুয়েট, ফি জমাদান রশিদ/পে-স্লিপের গ্রাহকের অংশসহ তার আবেদন ফরমটি ২০ অক্টোবর ২০২২ তারিখ, বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার মধ্যে স্ব-স্ব কলেজে জমা দিতে হবে।
আবেদন ফরমের সঙ্গে যে যে কাগজপত্র জমা দিতে হবে-
১) পরীক্ষার প্রবেশপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি।
২) পদক প্রাপ্তদের ক্ষেত্রে পদক প্রাপ্তির চিঠির সত্যায়িত ফটোকপি।
২) যেসব শিক্ষার্থীরা সাময়িক সনদপত্র তুলেছে কিন্তু ফেরত দেয়নি তাদের ক্ষেত্রে সাময়িক সনদপত্র জমা দিতে হবে।
প্রসঙ্গত, সমাবর্তনে অংশগ্রহণের জন্য অবশ্যই রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। যদি কোনো শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন না করেন, তাহলে সে শিক্ষার্থী সমাবর্তনে অংশগ্রহণের জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। ৫৩ তম সমাবর্তনে সাত কলেজের সেসব শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করতে পারবে যারা সাময়িক সনদপত্র/ প্রভিশনাল সার্টিফিকেট তুলেছেন এমন সেশনগুলো। পাস করা গ্রাজুয়েটরা অংশগ্রহণ করতে পারবে বলে আশা করা যায়। তবে, ঢাবি কর্তৃপক্ষ স্নাতক/স্নাতকোত্তরের নিদিষ্ট কোনো সেশন উল্লেখ করেনি।