জাবিতে নির্মাণ হচ্ছে ‘অত্যাধুনিক’ লেকচার থিয়েটার

‘অত্যাধুনিক’ লেকচার থিয়েটার 
‘অত্যাধুনিক’ লেকচার থিয়েটার    © সংগৃহীত

প্রতিষ্ঠার ৫০ বছরেও আধুনিক ও সময়োপযোগী পাঠদানকক্ষ নির্মাণ হয়নি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবিতে)। তবে প্রায় দেড় হাজার কোটি ব্যয়ে চলমান অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নির্মিতব্য একটি লেকচার থিয়েটার কাম এক্সামিনেশন হলের মাধ্যমে সে সংকট কাটিয়ে ওঠা যাবে বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা। 

প্রকল্প কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নির্মিতব্য এই লেকচার থিয়েটারে মোট ৬২টি সুসজ্জিত শ্রেণীকক্ষ থাকবে যাতে একসাথে ১০০ জন শিক্ষার্থী বসতে পারবেন। প্রতিটি ক্লাসরুমে ওয়াল র‍্যাক থাকবে যেখানে শিক্ষার্থীদের জন্য ল্যাপটপ ও অন্যান্য পাঠ-প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখা যাবে। আরও থাকবে ১০টি ল্যাব যা বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা ছাড়াও অন্যান্য শিক্ষার্থীরা ব্যবহার করতে পারবে। 

এছাড়াও থাকবে দু’টি ক্যান্টিন ও দু’টি সেমিনার লাইব্রেরি যেখানে ক্লাসের ফাঁকে শিক্ষার্থীরা খেতে ও পড়তে পারবে। পাশাপাশি দুইটি গ্যালারি থাকবে যার প্রত্যেকটিতে ২৫০ জন শিক্ষার্থী একসাথে পরীক্ষা দিতে পারবে। 

অনুষদ ও বিভাগ ভিত্তিক পাঠদান কক্ষ থাকতে লেকচার থিয়েটারের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন বলেন, বর্তমান পাঠদান কক্ষগুলো বিভাগ ভিত্তিক হওয়ায় সমন্বিত কোর্সের ক্লাস নিতে গেলে শিক্ষক অথবা শিক্ষার্থীদেরকে এক অনুষদ থেকে অনেকসময় আরেক অনুষদ বা বিভাগে যেতে হয়। আবার অনেক সময় স্নাতকোত্তর পর্বের শিক্ষার্থীদের থিসিস বা গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ থাকে না। বিষয়টি মাথায় রেখে লেকচার থিয়েটার নির্মাণের চিন্তা করা হয়েছে যেখানে শুধু স্নাতকপূর্ব (আন্ডারগ্র্যাজুয়েট) শিক্ষার্থীরা পাঠ নেবে ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। 

তিনি আরও বলেন, এর বড় বিষয়টি হচ্ছে পুরো ভবন অনলাইন/এন্ড্রয়েড ব্যবস্থাপনায় চলে যাবে। এতে শিক্ষকগণ মোবাইলেই দেখতে পারবে পাঠদানকক্ষ ফাঁকা আছে কিনা। কক্ষ ফাঁকা থাকা সাপেক্ষে যেকোনো সময় যেকোনো কক্ষ বুকিং দিতে পারবে। এর ফলে অনুষদে থাকা কক্ষগুলো স্নাতকোত্তর পর্বের শিক্ষার্থীরা শিক্ষা ও গবেষণার কাজে ব্যবহার করবে। 

আরও পড়ুন : কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান অধ্যাপক জামাল

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২য় বর্ষের এক শিক্ষার্থী রিফাত হাওলাদার বলেন, প্রকল্প কার্যালয়ের দেওয়া বর্ণনা অনুযায়ী ভবন নির্মাণ হলে আশা করি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুম সংকট থাকবে না। তবে মূলকথা হলো, বর্ণনার মধ্যে না থেকে দৃশ্যমান কাজ করা জরুরি। এর চেয়েও জরুরি দুর্নীতিমুক্ত সুব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নির্মাণকাজ।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম বলেন, পাঠদানের ক্ষেত্রে এটি অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বমানের কাতারে উন্নীত করবে। তবে কারা ক্লাস করবে তা নিয়ে অংশীজনদের নিয়ে কথা বলে নীতিমালা করা হবে।


সর্বশেষ সংবাদ