ব্লাড ক্যান্সারে মারা গেলেন রাবি অধ্যাপক রবিউল
ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক এম রবিউল করিম। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় ভারতের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন বলে জানিয়েছেন সমাজকর্ম বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক কবির উদ্দিন হায়দার।
তিনি বলেন, ২০১৯ সাল থেকে বিরল ব্যাধি ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। সর্বশেষ গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ভারতের টাটা মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাধীন ছিলেন এ অধ্যাপক। তাঁর অকালমৃত্যুতে শোকাহত হয়ে পড়েছেন সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
শোক প্রকাশ করে ওই বিভাগের শিক্ষার্থী মীম আক্তার বলেন, স্যার অনেকদিন যাবৎ অসুস্থতায় ভুগছিলেন। কিন্তু তিনি এভাবে চলে যাবেন ভাবতেই পারিনি!
শোকাভিভূত সহকর্মী অধ্যাপক গোলাম কিবরিয়া ফেরদৌস বলেন, আমরা একজন ভালো মনের ও উঁচু মানের এক প্রগতিশীল শিক্ষককে হারালাম। একই সাথে হারালো এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। এমন অকাল প্রস্থান নিঃসন্দেহে সমাজকর্মী ও সমাজকর্ম পেশার জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। আমরা তার রুহের মাগফেরাত কামনা করছি।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির ফেসবুক পেজ আবারও চালু
বিশ্ববিদ্যালয়ের এ অধ্যাপকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার। তিনি বলেন, ‘অধ্যাপক রবিউল করিম একজন নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক ও গবেষক ছিলেন। তাঁর অকাল মৃত্যুতে দেশ একজন উদীয়মান গবেষক হারালো। সমাজকর্মে তারঁ অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
অধ্যাপক করিম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সমাজকর্ম বিভাগ থেকে ১৯৯১ সালে স্নাতক (অনার্স) ও ১৯৯২ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। উভয় পরীক্ষায় তিনি প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন। পরে ১৯৯৭ সালে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সমাজকর্ম বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। এরপর ১৯৯৮ সালে নিজ বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন সবশেষ ২০১৩ সালে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি লাভ করেন।
২০০৫ সালে থাইল্যান্ডের এশিয়ান ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি (এআইটি) থেকে তিনি জেন্ডার এন্ড ডেভেলপমেন্ট বিষয়ের উপর এমএসসি করেন। ২০১১ সালে হংকং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজকর্মের উপর পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন।
২০১৮ সালে সুইডেনের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট থেকে পাবলিক হেলথ সায়েন্স বিষয়ের উপর পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন। পরে তিনি সুইডেনের লিনিয়াস বিশ্ববিদ্যালয় পোস্ট ডক্টরাল ফেলো রির্সাচার ও শিক্ষক হিসেবেও কাজ করেন। উচ্চমানের গবেষণার জন্য তার রয়েছে বেশ কৃতিত্ব। বিশ্বখ্যাত বিভিন্ন জার্নালে তার বর্তমানে ৩৫ টিরও অধিক গবেষনা পেপার রয়েছে।