বঙ্গবন্ধুই একমাত্র দূরদর্শী ও সাহসী নেতা: হারুন-অর-রশিদ
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ বলেছেন, ‘একটি গণতান্ত্রিক, শোষণ-বৈষম্যমুক্ত-সমতাভিত্তিক ও অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার অগ্রপথিক ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুই একমাত্র দূরদর্শী ও সাহসী নেতা যিনি তার নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে এ জাতিকে স্বাধীনতার সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত করেছেন এবং তার নির্দেশেই সমগ্র বাঙ্গালী জাতি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছে, দেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছে।’
সোমবার (২৯ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ইউজিসি’র অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন ও কর্মচারী ইউনিয়নের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ছিলেন মানে প্রাণে বাঙ্গালী এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনার অধিকারী। তার বলিষ্ঠ ও আপোষহীন নেতৃত্ব ছাড়া দেশের স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব হতো না। তিনি তার জীবন ও কর্মের মধ্য দিয়ে একটি পরাধীন জাতিকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। তাই তিনিই বাঙ্গালী জাতির পিতা।’
অনুষ্ঠানে ইউজিসি’র চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম বলেন, ‘৭৫ পরবর্তী সময়ে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিরা বাঙ্গালী জাতির পিতা, স্বাধীনতার ঘোষক এবং বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ- এ তিনটি বিষয় নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করে জাতিকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু আজীবন দেশের মানুষের স্বার্থের কথা তুলে ধরেছেন, আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে জীবনের উল্লেখযোগ্য সময় কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে কাটিয়েছেন। কোন অন্যায়ের সাথে কখনো আপোষ করেননি। দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন দিতেও তিনি সব সময় প্রস্তুত ছিলেন।’
আরও পড়ুন : আমরা গোলাম নই!! আমরা ছাত্র— একক অবস্থানে ঢাবি শিক্ষার্থী
তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের ভাষণে তিনি পরোক্ষভাবে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন এবং সমগ্র জাতিকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার আহবান জানিয়েছেন। ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হওয়ার আগে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন যা তদানীন্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ স্বীকার করেছেন এবং আমেরিকাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তাই স্বাধীনতার ঘোষণা ও জাতির পিতা নিয়ে বিতর্ক তৈরির কোন অবকাশ নেই।’
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ ও প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এছাড়া ইউজিসি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ জামিনুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান।