ঢাবি-জাবি-চবি-রাবি-বুয়েটকে পৃথক গুচ্ছে পরীক্ষা নেয়ার আহ্বান
দেশের ৩২টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক পর্যায়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর নতুন করে আরো তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছভুক্ত হয়েছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এ প্রক্রিয়ার বাইরে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়কে পৃথক গুচ্ছে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে উপাচার্যদের সঙ্গে ইউজিসির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সভা শেষে ইউজিসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গুচ্ছের বাইরে থাকা বাকি ৫ বিশ্ববিদ্যালয়কেও প্রয়োজনে পৃথক গুচ্ছে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়।
ইউজিসি চেয়ারম্যান (রুটিন দায়িত্ব) প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগমের সভাপতিত্বে সভায় কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের, কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামানসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সভায় ৩৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও উপাচার্যগণের মনোনীত প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: এবার তিন গুচ্ছে ৩২ বিশ্ববিদ্যালয়ে হবে ভর্তি পরীক্ষা
সভা শেষে ইউজিসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গুচ্ছের বাইরে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে দ্রুত ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি, ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ, ফলাফল ও ভর্তির সময় প্রকাশ করা, কেন্দ্রীয়ভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ও সাবজেক্টের প্লেসমেন্ট, মাইগ্রেশনের সময় নির্ধারণ, ভর্তি ফি একবার প্রদানের সুপারিশ করে ইউজিসি।
এছাড়া, ইউজিসির পক্ষ থেকে ভর্তি পরীক্ষার ফি যৌক্তিকভাবে নির্ধারণ করা ও শিক্ষার্থী ভর্তি কম হয় এমন বিভাগগুলোর আসন সংখ্যা কমানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। কোন সিলেবাসে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে এবং দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ প্রদানের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহনের আহ্বান জানানো হয়।
সভায় উপাচার্যবৃন্দ গুচ্ছের বাইরে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়কে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ এবং পরামর্শ দিয়ে এ প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান। তাঁরা প্রয়োজনে এ পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আলাদা গুচ্ছে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ারও পরামর্শ দেন।
প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয়কে সাহসী ভূমিকা পালনের জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার বাইরে থাকা আট বিশ্ববিদ্যালয়কে গুচ্ছ পদ্ধতিতে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হবে। এক্ষেত্রে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার জন্য ভারতের ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির (এনটিএ) আদলে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সরকারের নীতি নির্ধারণী মহলে অবগত করা হয়েছে।