পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩ শতাংশ শিক্ষক ছুটিতে
দেশের ৪৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট শিক্ষক রয়েছেন ১৫ হাজার ১৯৪ জন। এই শিক্ষকদের মধ্যে ৩ হাজার ৫১১ জন বিভিন্ন ধরনের ছুটিতে রয়েছেন। যা মোট শিক্ষকের ২৩ শতাংশের বেশি।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃক প্রকাশিত ৪৭তম বার্ষিক প্রতিবেদন থেকে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। ২০২০ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছিল।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, পাঁচ ধরনের ছুটিতে ছিলেন শিক্ষকরা। এদের মধ্যে বড় একটি অংশ শিক্ষাছুটিতে রয়েছেন। তবে শিক্ষকদের শিক্ষা ছুটির পরিমান ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে কমেছে। ২০১৯ সালে শিক্ষাছুটিতে ছিলেন ২ হাজার ২৬৪ জন। আর ২০২০ সালে ২ হাজার ৮৮ জন আছেন শিক্ষাছুটিতে।
আরও পড়ুন: জিপিএ-৫ এর তুলনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সংখ্যা অর্ধেকেরও কম
তথ্যমতে, ২০২০ সালে লিয়েন বা অন্য প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন এমন শিক্ষকের সংখ্যা ৭৬ জন। বিনা বেতনে ছুটিতে ২০৩ জন, ছুটি শেষ হলেও অনুমতি ছাড়াই বিদেশে রয়েছেন ৪৩ জন। খণ্ডকালীন বা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন ১২০১ জন।
প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সবচেয়ে বেশি চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক রয়েছে। ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠানটির এক হাজার ৫১৮ জন শিক্ষকের মধ্যে ৫৪২ জনই চুক্তিভিত্তক হিসেবে চাকরি করছেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩১২ জন শিক্ষক শিক্ষাছুটিতে রয়েছেন। প্রেষণে রয়েছেন ১৭ জন, বেতন ছাড়া চাকরি করছেন ২৮ জন। আর অননুমোদিত ছুটিতে ছিলেন ৪ জন।
আরও পড়ুন: শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতে আন্তর্জাতিক মান নেই ৫৮ বিশ্ববিদ্যালয়ে
শিক্ষকদের এ ধরনের ছুটির বিষয়ে জানতে চাইলে ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, প্রয়োজনীয় সংখ্যক জ্ঞান আহরন, আন্তর্জাতিক সেমিনার, উচ্চতর শিক্ষাসহ নানা কারণে শিক্ষকরা ছুটি নিয়ে থাকেন। যেটি স্বাভাবিক। তবে এগুলো সংক্ষিপ্ত ছুটি। পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের ক্ষেত্রে শিক্ষকরা দীর্ঘ ছুটিতে যান। তাদের ক্ষেত্রে অন্য শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার বিধান রয়েছে। ফলে শিক্ষক সংকট তৈরির সম্ভাবনা নেই।