বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাতিষ্ঠানিক ওপেন এডুকেশন রিসোর্স পলিসি তৈরির আহবান
গুণগত উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক ওপেন এডুকেশনাল রিসোর্সেস পলিসি ও ওইআর প্লাটফর্ম সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণেও ওইআর পলিসি সহায়ক হবে।
প্রাতিষ্ঠানিক ওইআর পলিসি তৈরি বিষয়ক ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি সোমবার (৯ আগস্ট) একথা বলেন। ইউজিসি ও কমনওয়েলথ এডুকেশনাল মিডিয়া সেন্টার ফর এশিয়া যৌথভাবে পাঁচ দিনব্যাপী এ কর্মশালার আয়োজন করছে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের, ইউজিসি সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামান, সেমকার পরিচালক প্রফেসর ড. মাধু পারহাড় এবং সিনিয়র প্রোগাম অফিসার (এডুকেশন) ড. মানস রঞ্জন পানিগ্রাহী। ইউজিসি’র আইএমসিটি বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান ভূইয়া কর্মশালায় সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন।
সভায় প্রফেসর সাজ্জাদ হোসেন বলেন, দেশের উচ্চশিক্ষা খাতকে এগিয়ে নিতে হলে প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করে শিক্ষা সংক্রান্ত রিসোর্সে শিক্ষার্থীদের সহজ ও অবাধ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য দেশের সকল পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাতিষ্ঠানিক ওপেন এডুকেশন রিসোর্স পলিসি তৈরি করতে হবে। ওইআর পলিসি চুড়ান্ত করা গেলে উচ্চশিক্ষা খাতে শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীরা সহজেই ক্লাস লেকচার, টেক্সট ও গবেষণাপত্রসহ শিক্ষার বিভিন্ন উপকরণ সহজে নিজেদের মধ্যে আদান প্রদান করতে পারবেন।
প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের বলেন, প্রতিষ্ঠানিক ও জাতীয় পর্যায়ে ওপেন এডুকেশন রিসোর্স পলিসি প্রণয়নে ইউজিসি, বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ ও সেমকা যৌথভাবে কাজ করছে। ওইআর পলিসি প্রণয়নে ইউজিসি, বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ, সেমকা ও কানাডার কমনওয়েলথ অব লার্নিং যৌথভাবে কাজ করছে। জ্ঞানের আদান প্রদান, সমাজের অবহেলিত জনগোষ্ঠীর কাছে জ্ঞানের সহজলভ্যতা, প্রাতিষ্ঠানিক ও জাতীয় পর্যায়ে ওইআর পলিসি তৈরিতে এই কর্মশালা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।এছাড়া, শিক্ষকদের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও জ্ঞানের উৎকর্ষ সাধনে ওইআর পলিসি অতীব গুরুত্বপূন্য বলে তিনি জানান।
প্রফেসর ড. মাধু পারহাড় এবং ড. মানস রঞ্জন পানিগ্রাহী বলেন, এই কর্মশালা শিক্ষকদেরকে নিজ নিজ বিশ্ববদ্যিালয়ের জন্য ওইআর পলিসি তৈরিতে উৎসাহিত করবে। তারা শিক্ষার গুণগতমান উন্নয়নে উচ্চশিক্ষা সংক্রান্ত উপাদানসমূহ লাইসেন্সের আওতায় এনে সকলের জন্য উন্মুক্ত করার ওপর জোর দেন।
ইউজিসি সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামান বলেন, করোনা মহামারি সময়ে অনলাইন এডুকেশন ও ব্লেন্ডেড লার্নিং উচ্চশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় ওইআর পলিসি একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে।
কর্মশালায় দেশের ২০টি পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০ জন শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার এবং ওইআর বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মোস্তফা আজাদ কামাল কর্মশালায় রিসোর্স পার্সন হিসেবে যুক্ত ছিলেন।