ইউজিসি-বঙ্গবন্ধু ফেলো হিসেবে হাবিপ্রবির সাবেক ভিসির যোগদান
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, শিক্ষা প্রশাসক ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. এম. আফজাল হোসেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান এর নিকট ইউজিসি-বঙ্গবন্ধু ফেলো হিসেবে যোগদানপত্র দাখিল করেছেন। মঙ্গলবার (১ আগস্ট) তিনি যোগদান করেছেন বলে ইউজিসি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইউজিসি বলছে, দেশের উচ্চ শিক্ষায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনবদ্য অবদানকে স্মরণীয় করে রাখতে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ইউজিসি-বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ প্রবর্তন করে।
ফেলোশিপ প্রদানে কলা ও মানবিক, বিজনেস, শিক্ষা ও আইন, সামাজিক বিজ্ঞান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অধিক্ষেত্র নির্ধারণ করে জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে দরখাস্ত আহবান করা হয়। ফেলোশিপের জন্য দেশের ৯ জন গবেষক আবেদন করেন। ইউজিসি গঠিত কমিটি সকলের আবেদন যাচাই বাছাই করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. আফজাল হোসেনকে তার ‘এক্সপ্লোরিং দ্য পোটেনশিয়াল অব সিউইডস ফর প্রমোটিং দ্যা ব্লু ইকোনমি অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক গবেষণা প্রস্তাবনার জন্য এই ফেলোশিপের জন্য চূড়ান্ত মনোনয়ন দেয়।
অধ্যাপক ড. এম. আফজাল হোসেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট এবং প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণতম প্রফেসর। তিনি দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে অত্যন্ত সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে বগুড়ার শীর্ষ বেসরকারি বিদ্যাপীঠ পুন্ড্র বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও টিএমএসএস-এর উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
অধ্যাপক ড. আফজাল বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদ থেকে প্রথম শ্রেণিতে ১৯৭৪ সালে স্নাতক ও ১৯৭৬ সালে প্রাণ রসায়ন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ১৯৮৪ সালে ভারতের হরিয়ানার জাতীয় ডেয়রি গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে পিএইচ.ডি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ইউএস-এইড ফেলোশিপের আওতায় ১৯৮৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ে খাদ্য বিজ্ঞান ও পুষ্টি বিভাগে পোস্ট-ডক্টরাল গবেষণা কাজ সম্পন্ন করেন।
অধ্যাপক আফজাল হোসেন বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার মাজবাড়ি গ্রামের ছবদের রহমান ও জামিলা খাতুনের পুত্র। ব্যক্তিজীবনে তিনি এক পুত্র ও এক কন্যার পিতা।