২৯ জুলাই ২০২১, ১৯:৪৯

অনলাইন শিক্ষাকে কার্যকর ও উপভোগ্য করতে ইউজিসি চেয়ারম্যানের আহবান

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন  © ফাইল ছবি

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেছেন, করোনা মহামারির কারণে দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় এক রকম স্থবিরতা বিরাজ করছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য অনলাইন শিক্ষা জোরদার করতে হবে। কার্যকরভাবে অনলাইন শিক্ষা পরিচালনা করার কৌশল খোঁজে বের করতে হবে। অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমকে উপভোগ্য করতে হলে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের পাশাপাশি, পরীক্ষা আয়োজন ও তাদের অর্জন যাচাইয়ের যথাযথ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায়, অনলাইন শিক্ষা কার্যকর হবে না এবং শিক্ষার্থীদের ড্রপআইট বাড়বে।

গতকাল (২৮ জুলাই ২০২১) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ও ঢাকাস্থ আমেরিকান দূতাবাসের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। অনুষ্ঠানে “অনলাইন লার্নিং-বিয়ন্ড টেস্টস অ্যান্ড কুইজেজ: অ্যাসেসমেন্ট স্ট্র্যাটেজিস দ্যাট ফ্যাসিলিটেট লার্নিং” (Online Learning - Beyond Tests and Quizzes: Assessment Strategies that Facilitate Learning) শীর্ষক মূল বিষয়বস্ত উপস্থাপন করেন ইউনিভার্সিটি অব নিউ মেক্সিকো’র অর্গানাইজেশন, ইনফরমেশন অ্যান্ড লার্নিং সায়েন্সেস এর সহযোগী অধ্যাপক ড. স্টেফানি এল মুর। উদ্বোধনী পর্বে যুক্ত ছিলেন ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, প্রফেসর দিল আফরোজা বেগম ও আইএমসিটি বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান ভূইয়া। অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের অতিরিক্ত পাবলিক অ্যাফেয়ার্স অফিসার শার্লিনা মর্গান ও সংস্কৃতি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ রায়হানা সুলতানা।

ইউজিসি চেয়ারম্যান তার বক্তব্যে অরো বলেন, বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম অনেক আগে শুরু হলেও বাংলাদেশে এ ধারণাটি নতুন। শিক্ষা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে হলে অনলাইন ও ব্লেন্ডেড লার্নিং সিস্টেমকে কার্যকর করতে হবে এবং এ সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। উচ্চশিক্ষা খাতের শিক্ষকদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণসহ এবং অনলাইন ও ব্লেন্ডেড লার্নিং নীতিমালা তৈরিতে ইউজিসি কাজ করছে বলে তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।

ইউজিসি চেয়ারম্যান তার বক্তব্যে অনলাইন শিক্ষা বিষয়ে উচ্চশিক্ষা খাতের শিক্ষকদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে এগিয়ে আসার জন্য ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসকে ধন্যবাদ জানান এবং এ সহযোগিতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

অধ্যাপক ড. স্টেফানি এল মুর অনলাইন এসেসম্যান্টের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন এবং অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

অনুষ্ঠানে দেশের ১০টি পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচশত শিক্ষক অংশ নেন।