বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দক্ষতা ও উদ্ভাবন সক্ষমতা বৃদ্ধির আহবান ইউজিসির
দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে দক্ষতা ও উদ্ভাবন সক্ষমতা বৃদ্ধির আহবান জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন। তিনি আধুনিক ও মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ তৈরি করতে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ দেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা ও প্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে দক্ষ মানব সম্পদ তৈরির ওপরেও তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
শৃঙ্খলা ও আচরণ বিধি শীর্ষক পাঁচদিনের ভার্চুয়াল কর্মশালার সমাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি আজ সোমবার (১২ জুলাই) এ আহবা জানান।
আইএমসিটি বিভাগের উপপরিচালক মোহাম্মদ মনির উল্লাহর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইউজিসি সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামান। কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন আইএমসিটি বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মাকছুদুর রহমান ভূঁইয়া এবং পাবলিক বিশ্বদ্যিালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. গোলাম দস্তগীর।
সভায় ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করে জনগণের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিতে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে অগ্রণী ভুমিকা পালন করার আহবান জানান।
তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ১০ হাজার ডলারে উন্নীত করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে বর্তমান সরকার। বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে যুগোপযোগী শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবন দিয়ে এ লক্ষ্য অর্জনে সরকারেকে সহায়তা করা প্রয়োজন।
তিনি ইউজিসি’র কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে সরকারের শৃঙ্খলা ও আচরণ বিধিমালা যথাযথভাবে অনুসরণ করে দায়িত্ব পালন এবং সেবা সহজ করতে উদ্ভাবন সক্ষমতা বৃদ্ধির আহবান জানান।
ইউজিসি সচিব ফেরদৌস জামান বলেন, দক্ষ মানব সম্পদ তৈরিতে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। তিনি কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদেরকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে লব্ধ জ্ঞান বাস্তব জীবনে প্রয়োগের আহবান জানান।
পাঁচ দিনের কর্মশালায় রিসোর্স পার্সন ছিলেন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের, জেনারেল সার্ভিসেস, এস্টেট এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পরিচালক ড. মো. সুলতান মাহমুদ ভূঁইয়া, রিসার্চ সাপোর্ট এন্ড পাবলিকেশন বিভাগের পরিচালক মো. কামাল হোসেন ও এসপিকিউএ বিভাগের পরিচালক ড. মো. ফখরুল ইসলাম।
কর্মশালায় কমিশনের ২০ জন সিনিয়র সহকারী পরিচালক এবং সহকারী পরিচালক ও সমমানের কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন।