‘ভিসিসহ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বিরুদ্ধে তদন্ত সুখকর নয়’
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেছেন, আমাদের দেশে শিক্ষাক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি স্বচ্ছতা থাকা দরকার। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে এপিএ বাস্তবায়নন জরুরি।
বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) ও এপিএএমএস (সফট্ওয়্যার) বিষয়ক ২ দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বুধবার (৩ মার্চ) প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর ও প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ। ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মো: আবু তাহেরের সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদোস জামান। অনুষ্ঠানে ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মো: সাজ্জাদ হোসেন ও বিভাগীয় প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ইউজিসি চেয়ারম্যান আরো বলেন, তিনি এপিএ’র ফোকাল পয়েন্টদেরকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে এপিএ বাস্তবায়নের তাগিদ দেন। এপিএ বাস্তবায়নে কোনো ধরনের অবহেলা সহ্য করা হবে না বলেও তিনি জানান।
প্রফেসর বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে তদন্ত সুখকর নয়। কারণ শিক্ষকরা সমাজের সম্মানিত ব্যক্তি। ভবিষ্যতে সম্মানিত উপাচার্যদের বিরুদ্ধে যেন তদন্ত করতে না হয় সেদিকে দৃষ্টি রেখে দায়িত্ব পালনের আহবান জানান।
প্রফেসর আলমগীর বলেন, কিছু কিছু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিক, প্রশাসনিক ও অ্যাকাডেমিক অস্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম অক্ষুণ্ন রাখার স্বার্থে এগুলো পরিহার করে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদেরকে উপাচার্যের বা কর্তৃপক্ষের লিখিত নির্দেশনা মোতাবেক দায়িত্ব পালনের অনুরোধ জানান। কোথাও কোথাও উপাচার্যের মৌখিক নির্দেশে বেতন বন্ধসহ নানারকম অভিযোগ শোনা যায়। উপাচার্যের শুধু মৌখিক নির্দেশে আর্থিক, প্রশাসনিক ও অ্যাকাডেমিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন ঠিক নয়।
সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর আবু তাহের বলেন, ভবিষ্যতে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে মূল্যায়ন ও কর্মদক্ষতার ওপর ভিত্তি করে বাজেট বরাদ্দ হবে। আন্দেলন-সংগ্রাম করে বাজেট বাড়ানা যাবে না। সামগ্রিক মূল্যায়ন করে বিশ্ববিদ্যালয়কে বাজেট দেওয়া হবে। তিনি সকলকে সতর্কতা ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালনের অনুরোধ করেন।
ইউজিসি এপিএ’র সদস্য-সচিব গোলাম দস্তগীরের সঞ্চালনায় কর্মশালায় ২৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকাল পয়েন্টগণ অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, সরকারি কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার এপিএ প্রবর্তন করেছে।