শিক্ষার্থীরা করোনা আক্রান্ত হলে চিকিৎসার দায় প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের: ইউজিসি
দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবহারিক ক্লাস ও পরীক্ষার কারণে কোনো শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব। এ ব্যাপারে কমিশন কোন দায়ভার গ্রহণ করবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে প্রলম্বিত হওয়া এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপদ ভবিষ্যত কর্মজীবনের জন্য প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স-মাস্টার্সের ফাইনাল পরীক্ষা, ব্যবহারিক ক্লাস ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার অনুমোদন ইউজিসি সাতটি নির্দেশনা দিয়েছে।
সোমবার (২ অক্টোবর) ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক ড. ফখরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে নির্দেশনাটি সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র অনার্স ও মাস্টার্স পর্যায়ের সর্বশেষ সেমিস্টারের ব্যবহারিক ক্লাস ও পরীক্ষার ক্ষেত্রে দিনে একটি প্রোগ্রামের একাধিক ব্যবহারিক ক্লাস ও পরীক্ষা গ্রহণ করা যাবে না। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের স্বাস্থ্যবিধি ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা মেনে প্রতি ক্লাসে একসঙ্গে অনধিক ১০ (দশ) জন শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে ব্যবহারিক ক্লাস ও পরীক্ষা শেষ করতে হবে।
শিক্ষার্থীরা ব্যবহারিক ক্লাস ও পরীক্ষা শুরুর আধা ঘণ্টা আগে ক্যাম্পাসে আসতে পারবেন এবং তা শেষ হওয়ার আধা ঘণ্টার মধ্যে ক্যাম্পাস থেকে প্রস্থান নিশ্চিত করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কোর্সের মৌখিক পরীক্ষা অনলাইনে শেষ করতে হবে। ব্যবহারিক ক্লাস ও পরীক্ষার হলে শিক্ষার্থীর মধ্যে দূরত্ব থাকতে হবে ন্যূনতম ছয় ফুট। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও এ দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশে কাভিড-১৯ এর ভয়াবহতা ও উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গত ৭ মে, ২০ মে এবং ১৭ আগস্ট কমিশন কর্তৃক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে অনলাইনে ক্লাস ও পরীক্ষা গ্রহণ, মূল্যায়ণ এবং শিক্ষার্থী ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করা হয়। উক্ত নির্দেশনায় ল্যাবরেটরিভিত্তিক সকল কোর্সের ব্যবহারিক ক্লাস এবং পরীক্ষা ও মূল্যায়ন করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর পরই অতিরিক্ত সময় বরাদ্দ করে সরাসরি শ্রেণি কক্ষে সম্পন্ন করতে হবে মর্মে নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
এতে ২৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক ও বাজেট কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। সভায় ২০২০-২০২১ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট এবং ২০২১-২০২২ অর্থবছরের মূল বাজেট নিয়ে আলোচনা হয়।