১৩ অক্টোবর ২০২০, ০৮:১০

অনলাইনে ক্লাস করার ডিভাইস নেই ১৪ শতাংশ শিক্ষার্থীর

শিক্ষার্থী ও ইউজিসি  © ফাইল ফটো

করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে গত ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ভারচুয়াল মাধ্যমে পাঠদান চালু রেখেছে উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। তবে অনলাইন ক্লাসের জন্য উপযুক্ত ডিভাইস না থাকায় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী ক্লাস করতে পারছিলেন না। এ অবস্থায় অসচ্ছল এসব শিক্ষার্থীদের স্মার্ট ডিভাইস কিনে দিতে উদ্যোগ নেয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। ৩৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠানো তালিকা অনুযায়ী স্মার্টফোন কেনার সামর্থ্য নেই এমন শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪২ হাজার। যা মোট শিক্ষার্থীর ১৪ শতাংশ।

তথ্যমতে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে পাঠানো তালিকা এখন যাচাই-বাছাইয়ের কাজ করছে ইউজিসি। এই প্রক্রিয়া শেষে চূড়ান্ত একটি তালিকা অনুমোদনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে ইউজিসি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে আর্থিক অনুমোদন লাগবে। এরপর সেই টাকা হাতে পাবে ইউজিসি। তখন তালিকা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অর্থ দেবে ইউজিসি।

ইউজিসির সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইনে ক্লাস সংক্রান্ত বিষয় দেখভাল করেন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম। তিনি জানান, আমরা এখন পর্যন্ত ৩৯টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তালিকা পেয়েছি। সেগুলো এখন যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তালিকা চূড়ান্ত করে সেটি অনুমোদনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

এদিকে ডিভাইস সঙ্কটসহ বেশ কয়েকটি কারণে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাস গতি পাচ্ছে না বলে মনে করছেন শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, আর্থিক সঙ্কট, দুর্বল নেটওয়ার্ক, নির্দিষ্ট ক্লাস রুটিন, সঠিক পরিকল্পনার অভাব ও শিক্ষকদের নতুন এই বিষয়টির সাথে খাপ খাইয়ে নিতে না পারার কারণে একটি ভালো উদ্যোগ নিয়েও সেটি আলোর মুখ দেখছে না। ফলে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইন ক্লাস শুরু করেও বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বশেমুরবিপ্রবির একজন শিক্ষক বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী গত ১ জুলাই থেকে আমরা পুরোদমে ক্লাস শুরু করি। প্রথমদিকে শিক্ষার্থী অংশগ্রহণের হার ছিল ৫০-৬০ শতাংশ। এক পর্যায়ে সেটি ১০-২০ শতাংশেরও নিচে নেমে আসে। ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে বাদ দিয়ে একাডেমিক কার্যক্রম এগিয়ে নেয়া সম্পূর্ণ অসম্ভব। তাই অনলাইন ক্লাস বন্ধ রাখা হয়েছে।