ইউজিসির আহবানে টেলিটক ছাড়া সাড়া দিল না কোনো অপারেটর

  © টিডিসি ফটো

করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রমে সহযোগিতা করার জন্য স্বল্পমূল্যের ইন্টারনেট দিতে আহবান করার পর সাড়া দিয়েছেন শুধু রাষ্ট্রায়ত্ত্ব মোবাইল অপারেটর ‘টেলিটক’।পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে সহযোগিতায় এগিয়ে আসার জন্য আর কোনো অপারেটরদের সাড়া মেলেনি।

করোনা মহামারির কারণে প্রায় পাঁচ মাস ধরে বন্ধ দেশের সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ফলে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়াও কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও ইন্টারনেটের বাড়তি মূল্যের কারণে শিক্ষার্থীরা আগ্রহী হচ্ছেন না। ফলে অনলাইন ক্লাসে তেমন সাড়া মিলছে না।

জানা গেছে, এ সমস্যা সমাধানে টানা আলোচনা শেষে গত জুলাই মাসে সব অপারেটরকে চিঠি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) পরিচালিত সংস্থা বাংলাদেশ রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন নেটওয়ার্ক (বিডিরেন)। এরপর টেলিটকের পক্ষ থেকে সাড়া দেওয়ার কথা জানানো হয়।

বিডিরেন’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ তাওরীত বলেন, ‘মোবাইল অপারেটদের স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেট দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলাম আমার। শুধু টেলিটক থেকে সাড়া পেয়েছি। অন্যদের সাড়া পাইনি।’

ইউজিসি জানিয়েছে, নামমাত্র মূল্যে ইন্টারনেট দেবে টেলিটক। বিডিরেন প্লাটফরম ব্যবহারকারী সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ সুবিধা পাবে। ৪২টি পাবলিক ও ৬৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে বিডিরেন প্লাটফর্ম ব্যবহার করছে।

ছাত্র-ছাত্রীরা জুম অ্যাপলিকশনের মাধ্যমে অনলাইনে ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারবে। এজন্য তাদেরকে টেলিটক নেটওয়ার্কের আওতায় থাকতে হবে। তারা প্রতি মাসে ১০০ টাকা রিচার্জের বিনিময়ে এই সুবিধা পাবেন। অবশ্য রিচার্জকৃত টাকা মূল অ্যাকাউন্টে জমা হবে।

ওই টাকা ভয়েস কল ও ডাটার জন্যও ব্যয় করা যাবে। আর অব্যবহূত টাকা পরবর্তী রিচার্জে যোগ হবে। তবে ১০০ টাকার নিচে রিচার্জ করলে ও সিমে ন্যূনতম ডাটা না থাকলে সুবিধাটি ভোগ করা যাবে না।

এ বিষয়ে ইউজিসির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, করোনার সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখার উদ্যোগ অত্যন্ত সময়োপযোগী।

এদিকে সব স্তরের শিক্ষার্থীদের স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেট দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন অভিভাবকরা। শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয়, স্কুল শিক্ষার্থীদেরও এই সুবিধা দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন তারা।

অভিভাবক ফোরামের সভাপতি জিয়াউল কবির দুলু বলেন, সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। সেজন্য অনলাইন ক্লাস ছাড়া বিকল্প নেই। তাই সব শিক্ষার্থীর জন্য স্বল্পমূল্যে বা বিনামূল্যে ইন্টারনেটের দিতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।


সর্বশেষ সংবাদ