ইউজিসির সদস্য পদে নিয়োগ পেতে শিক্ষকদের দৌড়ঝাঁপ
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) দু’টি সদস্য পদ বর্তমানে শূন্য। গত জানুয়ারি মাসে দু’জন সদস্যের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় এ পদগুলো শূন্য হয়ে পড়েছে। এই পদে নিয়োগ পেতে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার সমর্থক শিক্ষকদের মধ্যে শুরু হয়েছে দৌড়ঝাঁপ।
গত ১৩ জানুয়ারি ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন ও ২৬ জানুয়ারি অন্য সদস্য অধ্যাপক ড. শাহ নওয়াজ আলীর চার বছরের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। দেশে চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে এই পদগুলোতে নিয়োগ দিতে পারেনি সরকার। তবে অফিস শুরু হওয়া এবং ইউজিসির কাজের পরিধি বৃদ্ধি পাওয়ায় আগামী সপ্তাহের মধ্যে এই পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে চায় সরকার।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ইউজিসির সদস্যরা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সমপদমর্যাদায় বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন। আর সেজন্য এই পদে নিয়োগ পেতে সরকার সমর্থক শিক্ষকরা তৎপরতা চালাচ্ছেন। ইতোমধ্যে একটি পদে নিয়োগের জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের একজন অধ্যাপকের নামের প্রস্তাব করা হয়। তবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রস্তাবটি ফেরত এসেছে।
জানা গেছে, শূন্য হওয়া পদ পূরণের জন্য নতুন করে কয়েকজনের নাম শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে মন্ত্রণালয়। এর পরই মূলত এ পদে নিয়োগ পেতে রাজনৈতিক তদবির ও লবিং চালাচ্ছে নিয়োগ প্রত্যাশী শিক্ষকরা।
ইউজিসির সম্ভাব্য সদস্যদের তালিকায় রয়েছেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রহমত উল্লাহ, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের অধ্যাপক ড. মমতাজউদ্দিন আহমেদ, লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহামদ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আল-নকীব চৌধুরী। এ ছাড়া ইউজিসির সাবেক একজন সদস্য আবারও দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়োগ পেতে তদবির করছেন।
আলোচিতদের মধ্যে অধ্যাপক ড. রহমত উল্লাহর এ পদে নিয়োগ পাওয়ার বিষয়টি অনেকটাই চূড়ান্ত। তার ব্যাপারে সরকারের শীর্ষ মহলের সম্মতি পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে। অধ্যাপক ড. আল-নকীব চৌধুরী পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেছেন। অধ্যাপক মো. মাহবুবুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান, জসীমউদ্দীন হলের প্রাধ্যক্ষ এবং একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও ছিলেন। আলোচিত প্রত্যেকেরই প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা রয়েছে।