বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও সান্ধ্য কোর্স বন্ধের সুপারিশ ইউজিসির
- ফরহাদ কাদের
- প্রকাশ: ০২ জানুয়ারি ২০২০, ১০:৪৫ PM , আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০২০, ১২:৩৩ PM
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও সান্ধ্য কোর্স বন্ধ করতে চায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। সম্প্রতি প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদনে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের সান্ধ্য কোর্স বন্ধের সুপারিশ করেছে তদারক সংস্থাটি। এর আগে সান্ধ্য কোর্স বন্ধে সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর চিঠি পাঠায় ইউজিসি।
ইউজিসির ৪৫তম বার্ষিক প্রতিবেদনে সান্ধ্য কোর্স বন্ধের বিষয়ে বলা হয়েছে, ‘সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্নাতক/স্নাতকোত্তর পর্যায়ে সান্ধ্য কোর্স চালু রয়েছে যা শিক্ষার সার্বিক মানকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। এসব সান্ধ্য কোর্স অবিলম্বে বন্ধ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।’
এ প্রসঙ্গে ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত না করে আর্থিক লাভের কথা চিন্তা করেই এ ধরণের সান্ধ্য কোর্স চা্লানো হচ্ছে। এসব কোর্সে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ক্লাসও ঠিকমতো নেয়া হয় না। সহজে সনদ লাভের সুযোগ পেয়ে সন্ধ্যার কোর্সেই বেশি আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। তাই উচ্চশিক্ষার গুণগত মান ঠিক রাখতেই সান্ধ্যকালীন কোর্স বন্ধ করা প্রয়োজন।
বর্তমানে দেশে ১০৩টি অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।এরমধ্যে ৯০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সবকটিতেই সান্ধ্যকালীন স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। আবার কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্যকালীন স্নাতক প্রোগ্রামও চালু রয়েছে।
এ বিষয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেন বলেন, ‘সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্য কোর্স অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় নিয়মিত শিক্ষার্থীদের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
রাষ্ট্রপতিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে যোগ দিয়ে এর কঠোর সমালোচনা করেন। তবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্য কোর্স নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রমে কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলে না।সারা বিশ্বেই সান্ধ্য কোর্সের প্রচলন রয়েছে। এর মাধ্যমে পেশাজীবীরা তাদের ক্যারিয়ারে উৎকর্ষ সাধনে ডিগ্রি নিয়ে থাকে।
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সান্ধ্য কোর্সের তীব্র সমালোচনা করেন রাষ্ট্রপতি। এরপর সান্ধ্য কোর্স বন্ধে উপাচার্যদের চিঠি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। সে নির্দেশনা অনুসরণ করে সান্ধ্য কোর্সে নতুন করে ভর্তি না নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে জগন্নাথ ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। বন্ধের বিষয়ে আলোচনা চলছে আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে।