বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানি হলে ব্যবস্থা: ইউজিসি চেয়ারম্যান
দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যৌন হয়রানি হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) ইউজিসিতে ইউএন উইমেন আয়োজিত কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি বন্ধে দিনব্যাপী এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনেক বেশি যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটছে। ইউজিসি ইতোমধ্যে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়কে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে। যৌন হয়রানির বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ইউএন উইমেন এর সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ইউজিসি। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সে লক্ষ্যে ইউজিসি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
প্রফেসর কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি বন্ধে বিদ্যমান আইনগুলো স্ট্রিমলাইন করা এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এ হয়রানি থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। তিনি বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন ও লৈঙ্গিক সমতায়নে নারী-পুরুষ, ছেলে-মেয়েকে একযোগে কাজ করতে হবে। দেশের বিশাল জনগোষ্ঠী নারীরা যাতে নির্বিঘে চলাফেরা করতে পারে সেজন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম বলেন, দেশের প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষাস্তর পর্যন্ত পাঠ্যপুস্তকে নারী-পুরুষের সমঅধিকার, নারীর ক্ষমতায়ন, সর্বোপরি নারীর প্রতি পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। কর্মস্থলে যৌন হয়রানির ভয় ও সামাজে প্রচলিত চর্চার কারণে নারীরা সম্পূর্ণভাবে নিজেদেরকে মেলে ধরতে পারছে না। নারীর মাতৃত্বের সাথে তার সামাজিক ও কর্মস্থলে ভূমিকা যোগ করলে সমাজে পুরুষের তুলনায় নারীর অবদান অনেক বেশি হবে বলে করেন তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, যৌন হয়রানির ভয় দেখিয়ে সমাজে নারী-পুরুষকে আলাদা করা যাবে না। তিনি যৌন হয়রানি বন্ধে প্রতিরোধ কমিটি শক্তিশালীকরণ ও মনিটরিং জোরদার করার পরামর্শ দেন। এছাড়া, সকল ধরনের হয়রানি বন্ধে নৈতিক শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
কর্মশালায় ইউজিসি বিভাগীয় প্রধানগণ, ইউএন উইমেন এর প্রোগাম অ্যানালিস্ট ইরফাত আরা ইভাসহ ইউজিসির কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।