গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে যা বলছে ইউজিসি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৮ PM , আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৪ PM
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য (পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়) অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান বলেছেন, গুচ্ছের বিষয়টি নিয়ে সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সবকিছুই বিবেচনায় রাখা হবে।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের এই অধ্যাপক।
ইউজিসির এই সদস্য জানান, গুচ্ছের যেমন সুবিধা আছে; তেমনি অসুবিধাও আছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে অসুবিধা বেড়েছে। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়া না লাগলেও মাইগ্রেশনসহ নানা ইস্যুতে আর্থিক ব্যয় বেড়েছে। এটিও বিবেচনা করতে হবে। আমরা যে সিদ্ধান্ত নেইনা কেন; সেটি শিক্ষার্থীদের পক্ষেই থাকবে বলেও জানান তিনি।
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ প্রক্রিয়া থেকে বেরিয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়। গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার এমন ঘোষণায় বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, গুচ্ছের ত্রুটিগুলো দূর করে এ পদ্ধতি বহাল থাকুক। শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গুচ্ছে থাকার আহবান জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা।
উপাচার্যদের উদ্দেশে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, বর্তমানে প্রচলিত গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে আসলে উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা আরও কঠিন হয়ে পড়বে। কয়েকদিন আগে উপাচার্যরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভায় এ বিষয়ে আলোচনার জন্য একত্র হয়েছিলেন। দেখা গেছে, গুচ্ছ পরীক্ষার পক্ষে-বিপক্ষে বিবিধ যুক্তি আছে। ভবিষ্যতে প্রয়োজনে এ পদ্ধতির সংশোধন করারও সুযোগ থাকবে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো
এককভাবে সিদ্ধান্ত নিতে থাকলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হবে।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ইতোমধ্যে অভিভাবক ও ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে গুচ্ছ পরীক্ষা পদ্ধতি বহাল রাখার পক্ষে স্মারকলিপিও পেয়েছি। এ পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য গুচ্ছ পরীক্ষা পদ্ধতিতে ভর্তির ব্যবস্থা অনুসরণ করার চেষ্টা করতে আপনাকে অনুরোধ করছি।
এর আগে গত ২৭ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তিতে গুচ্ছ পদ্ধতির বিষয়ে জরুরি বৈঠক করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ওই বৈঠকে শিক্ষক-শিক্ষার্থী বেশি এমন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে মতামত দেন। অন্যদিকে তুলনামূলক নতুন প্রতিষ্ঠিত ও জনবল কম থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গুচ্ছ পদ্ধতি রাখার পক্ষে অবস্থান নেয়। ফলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয় বৈঠক।
বৈঠক শেষে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।