সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়

অধ্যাপকের তীব্র সংকট, পাঠদান করছেন জুনিয়ররা

  © ফাইল ফটো

দেশের উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে মানসম্মত শিক্ষক সংকট প্রকট। অনেক নতুন ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপক নেই। পাঠদান করেন জুনিয়র শিক্ষকরা। সরকারি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া অন্যান্য সরকারি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষিত শিক্ষক-শিক্ষিকার অভাব রয়েছে। বিশেষ করে জাতীয়, উন্মুক্ত ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিষয়ক নতুন সরকারি ও অধিকাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক উচ্চতর ডিগ্রিধারী শিক্ষক সংকট বিরাজ করছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধানত প্রভাষক ও জুনিয়র শিক্ষকদের দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

ইউজিসি’র ‘৪৪তম বার্ষিক প্রতিবেদন-২০১৭’ তে দেশের উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক সংকটের এমন চিত্র উঠে এসেছে। উচ্চ শিক্ষাস্তরের মানোন্নয়নে বিভিন্ন ধরনের সংকট এবং সেগুলোর সমাধানের নাানা দিক রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের কাছে এই বার্ষিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে তুলে ধরে ইউজিসি। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় (১৮ অক্টোবর) ইউজিসি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে এ প্রতিবেদন পেশ করেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পক্ষে প্রয়োজনীয় উচ্চডিগ্রী সম্পন্ন জনবল তৈরি করাও সম্ভব হচ্ছে না। কারণ, শিক্ষকদেরকে বর্তমানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হচ্ছে। ফলে উচ্চতর গবেষণা পরিচালনা করার জন্য যে সময়ের প্রয়োজন তা তারা পাচ্ছে না। এছাড়া শিক্ষকরা শিক্ষকতা পেশায় ক্রমাগত আগ্রহ হারাচ্ছে উল্লেখ করে তাদের বেতন ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর পাশাপাশি তাদের জন্য পৃথক বেতন স্কেল প্রণয়ন করার সুপারিশ করা হয় ইউজিসি’র এই প্রতিবেদনে।

শিক্ষক সংকটের নানা দিক উল্লেখ করে তা সমাধানে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের কাছে এ বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছে ইউজিসি। প্রতিবেদনের সুপারিশে বলা হয়েছে, নতুন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর পদগুলোতে স্থায়ীভাবে শিক্ষক নিয়োগ নিশ্চিতকরণের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে। অভিজ্ঞ শিক্ষকরা যেন অপেক্ষাকৃত নবীন বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদানে আগ্রহী হন, সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এখন থেকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা না গেলে ২০৪১ সালের লক্ষ্য অর্জন অত্যন্ত কঠিন হবে।


সর্বশেষ সংবাদ