ইউজিসি সদস্য নিয়োগ: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তিন অধ্যাপকের নাম
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) পূর্ণকালীন সদস্য অধ্যাপক ড. আবু তাহেরের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে এর আগেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। এরপর থেকেই ইউজিসির এই পদটি ফাঁকা; যাতে নিয়োগ দিতে তিন অধ্যাপকের নাম প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
ইউজিসিতে নতুন সদস্য নিয়োগের বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) খালেদা আক্তার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে তিনজনের নামের তালিকা পাঠানো হয়েছে। কবে নাগাদ এটি চূড়ান্ত হবে সে বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।’
সংশ্লিষ্টরা জানান, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার সদস্য পদটি সবার বিশেষ করে উপাচার্য ও সিনিয়র শিক্ষকদের কাছে সম্মানের, একই সঙ্গে তা আকর্ষণীয়ও। এসব কারণে পদটিতে আসীন হতে চান অনেকেই। সূত্রের তথ্য, গত বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন অধ্যাপকের জীবনবৃত্তান্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ের এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ইউজিসি সদস্য হতে একাধিক অধ্যাপক জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন। এর মধ্য থেকে তিনজনের একটি শর্টলিস্ট করেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। এই তিনজনের জীবনবৃত্তান্ত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। এখন প্রধানমন্ত্রী একজনের নাম চূড়ান্ত করবেন। এরপর তা রাষ্ট্রপতির দপ্তরে পাঠানো হবে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর ইউজিসি সদস্য নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক জাকির হোসেন, ইউজিসির সাবেক সদস্য ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. এম শাহ নওয়াজ আলী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীনের জীবনবৃত্তান্ত প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। এই তিন অধ্যাপকের মধ্য থেকে যে কোনো একজন ইউজিসির সদস্য হতে যাচ্ছেন।
জানা গেছে, কমিশনের সদস্য পদে নিয়োগ পেতে আগ্রহী শিক্ষকরা তাদের জীবনবৃত্তান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেন। প্রাপ্ত জীবনবৃত্তান্তগুলো প্রাথমিকভাবে যাচাই-বাছাই করে একটি শর্ট লিস্ট মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়।
প্রধানমন্ত্রী সেই তালিকা যাচাই-বাছাই, গোয়েন্দা প্রতিবেদন, শিক্ষকতা জীবনে তিনি কোন মতাদর্শের ছিলেন, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, সততা— এসব বিষয় যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত নিয়োগের জন্য রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে পাঠান। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর আবার তালিকা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এরপর মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে।