পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠায় বিশ্ববিদ্যালয়কে সহযোগিতা করবে ইউজিসি
বিজ্ঞানসম্মতভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পরিচ্ছন্ন ও সবুজ ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে ইউজিসি থেকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি। মঙ্গলবার (২১ মে) ইউজিসির ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুদ্ধাচার কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অংশীজন সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ আহ্বান জানান।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দক্ষিণ এশিয়ার সমন্বয়ক অধ্যাপক আলমগীর বলেন, পরিচ্ছন্ন ও সবুজ ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠায় প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নজর দেওয়া উচিত। ইতোমধ্যে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযথ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পরিচ্ছন্ন ও সবুজ ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পরিচ্ছন্ন ও সবুজ ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠায় আগ্রহ দেখিয়েছে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়কে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় এগিয়ে আসতে হবে।
ইউজিসি চেয়ারম্যান আরও বলেন, পরিবেশ রক্ষায় ‘সিঙ্গেল ইউজ’ প্লাস্টিকের ব্যবহার পরিহার করা উচিত। ইউজিসিতে প্লাস্টিকের ব্যানার, প্লাস্টিকের পানির বোতলসহ অন্যান্য প্লাস্টিক পণ্যের পরিবর্তে পরিবেশ বান্ধব পণ্য ব্যবহারকে উৎসাহিত করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে।
প্রফেসর আলমগীর বলেন, দেশের জনসংখ্যার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এক্ষেত্রে সকল প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মানোন্নয়নে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক হতে হবে। উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়ন একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া যা রাতারাতি অর্জন করা সম্ভব নয়। উচ্চশিক্ষায় গুণগত পরিবর্তন নিয়ে আসতে শিক্ষার পরিবেশ উন্নয়নসহ বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এর ফলে, উচ্চশিক্ষায় পরিবর্তন আসা শুরু হয়েছে।
সভায় ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কমিশনের পরিচালক ড. সুলতান মাহমুদ ভুইয়া। কমিশনের উপসচিব ও জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলের ফোকাল পয়েন্ট মো. আসাদুজ্জামানের সঞ্চালনায় সভায় ইউজিসির কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মীসহ সংশ্লিষ্ট ও অংশীজনেরা অংশগ্রহণ করেন।