বিদেশি শিক্ষার্থীরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন দেশের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে
একসময় দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উল্লেখযোগ্য হারে দেখা যেত বিদেশি শিক্ষার্থী। তবে বর্তমানে এই চিত্র ভিন্ন। দিন দিন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) প্রকাশিত ‘৪৯তম বার্ষিক প্রতিবেদন-২০২২’-এ উঠে এসেছে এমন চিত্র।
ইউজিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিগত বছরের তুলনায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কমেছে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা। সর্বশেষ প্রতিবেদন বলছে, ২০২২ সালে ৫৩টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬৭০ জন। ২০২১ সালে এ সংখ্যা ছিল ৬৭৭ জন।
অন্যদিকে ১০০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৩২টিতে মোট ৩৭টি দেশের শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছেন। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ২৮৭ জন। কিন্তু ২০২১ সালে এ সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৬০৪ জন। অর্থাৎ ২০২১ সালের তুলনায় আলোচ্য বছরে দেশের বেসরকারি উচ্চশিক্ষালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩১৭ জন হ্রাস পেয়েছে।
২০২২ সালে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ, চীন, জাপান, সৌদি আরব, ইয়েমেন, ফিলিস্তিন, গাম্বিয়া, মরক্কো, দক্ষিণ কোরিয়া, তুরস্ক, উগান্ডা, জিম্বাবুয়ে, সিয়েরালিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, তাইওয়ান, সোমালিয়া, ইথিওপিয়া, নাইজেরিয়া, আফগানিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, বাহরাইন, লাইবেরিয়া, জাম্বিয়া, জিবুতি, মিয়ানমার, কেনিয়া, দক্ষিণ সুদান, যুক্তরাজ্যসহ মোট ৩৭টি দেশের শিক্ষার্থী বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা নিতে আসেন।
প্রতি বছর সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বাড়লেও বাড়ছে না বিদেশি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ। উল্টো কমেছে। বিদেশি শিক্ষার্থী কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে শিক্ষার্থীদের জন্য পুরোপুরি আন্তর্জাতিক মানের ক্যাম্পাস তৈরি না হওয়াকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এছাড়া প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে উন্নত বিশ্বের বহু বিশ্ববিদ্যালয় নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা যেমন অর্থায়ন, স্কলারশিপ দেওয়ার কারণে সেসব আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা অবস্থান করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে বলে মনে করেন তারা।