পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বরাদ্দ দেয়া অর্থের জবাবদিহিতা থাকতে হবে: ইউজিসি
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) এবং দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ স্বতন্ত্র আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিদ্যমান আর্থিক অনুশাসন অনুসরণপূর্বক অর্থ বরাদ্দ এবং অর্থ ছাড় পদ্ধতি চলমান থাকা বাঞ্ছনীয়। তবে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ে অবশ্যই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারের প্রচলিত আর্থিক বিধি বিধান যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে পিএল অ্যাকাউন্ট বাস্তবায়ন শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর এ কথা বলেন।
প্রফেসর আলমগীর আরও বলেন, ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দেখভালের জন্য ইউজিসি প্রতিষ্ঠা করেন। এসব প্রতিষ্ঠানের স্বায়ত্তশাসন ক্ষুন্ন হলে দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার বর্তমান অগ্রগতির ধারা ব্যাহত হবে। তাই যেকোন ব্যবস্থা গ্রহণের পূর্বে অবশ্যই প্রতিষ্ঠানের মূল চরিত্রের সাথে সাংঘর্ষিক কিনা এবং এর ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিকগুলো যথাযথভাবে যাচাই করা বাঞ্ছনীয়।
তিনি আরও বলেন, দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্বতন্ত্র আইন দিয়ে পরিচালিত হয়। অর্থ ব্যয়ে কোন গেটওয়ে বা ডিজিটাল টুলস ব্যবহার করার ক্ষেত্রে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইন অনুসরণের পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুন: মেয়াদোত্তীর্ণ শেকৃবি ছাত্রলীগের সম্মেলন ১ নভেম্বর
স্মার্ট অর্থ-ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে ইউজিসি ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের আইবাস প্লাস প্লাস প্রোগ্রাম যৌথভাবে ইউজিসি অডিটোরিয়ামে দিনব্যাপী এই কর্মশালার আয়োজন করে। এ কর্মশালায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, ট্রেজারার, অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক ও ইউজিসির বিভাগীয় প্রধানগণ অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হাবিবুর রহমান, যশোর বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হাফিজা খাতুন বক্তব্য রাখেন। এছাড়া, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধাক্ষ্য ও হিসাব বিভাগের পরিচালক বক্তব্য দেন। কর্মশালায় উন্মুক্ত সেশন পরিচালনা করেন ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের।
সভায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএল (পার্সোনাল লেজার) অ্যাকাউন্ট বাস্তবায়নের বিষয়টি আরও পর্যালোচনার জন্য ইউজিসির নেতৃত্বে একটি কমিটি করার প্রস্তাব গৃহীত হয়। কমিটির সুপারিশক্রমে পিএল অ্যাকাউন্ট বাস্তবায়ন বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে।
ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের- এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামানিক, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বিলকিস জাহান রিমি, ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব নূর-ই-আলম বক্তব্য দেন। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএল (পার্সোনাল লেজার) অ্যাকাউন্ট বাস্তবায়নের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অর্থ বিভাগের যুগ্ম সচিব এবং আইবাস প্লাস প্লাস প্রোগ্রামের সিনিয়র কনসাল্ট্যান্ট আবুল বাশার মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন।