দেশের ১৬৮টি পাবলিক-প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী ৪৪ লাখ
দেশে বর্তমানে পাবলিক ও প্রাইভেট ব্যবস্থাপনায় ১৬৮টি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হচ্ছে। এসব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৪৪ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তদারক সংস্থা বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে কমিশনের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে আয়োজিত একটি বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৪৪ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছে, যা পৃথিবীর অনেক দেশের মোট জনসংখ্যার চেয়েও বেশি। এ বিশাল সংখ্যক কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে আধুনিক শ্রমবাজার উপযোগী দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে তিনি জানান।
ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, দেশে বর্তমানে পাবলিক ও প্রাইভেট ব্যবস্থাপনায় ১৬৮টি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হচ্ছে। এসব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৪৪ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক বিষয়ে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও সুশাসন নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে কমিশনের মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিক শৃঙ্খলা নিশ্চিত ও অনিয়ম/ত্রুটি-বিচ্যুতি চিহ্নিতকরণে অভিন্ন আর্থিক নীতিমালা এবং ফাইনান্সিয়াল ম্যানুয়াল প্রণয়ন করা হয়েছে, যা আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ইউজিসি’র কাঠামো, আইনি ও জনবল আজকের ১৬৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার মান উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ করতে পর্যাপ্ত নয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ইউজিসি’র সক্ষমতা, দক্ষতা এবং আইনি ক্ষমতা প্রদান এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ একান্ত প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন ডা. দীপু মনি এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী অনুষ্ঠানে সম্মাননীয় অতিথি ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে উদ্ভাবন ও গবেষণা কার্যক্রম উৎসাহিত করতে গবেষণাখাতে বাজেট বরাদ্দ দিগুণ করা হয়েছে। শিক্ষাখাতের সার্বিক বাজেটও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করা হয়েছে। তিনি শিক্ষার বাজেট বৃদ্ধির চেয়ে বরাদ্দকৃত অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করাও জরুরি বলে তিনি অভিমত প্রকাশ করেন। ভবিষ্যতে শিক্ষার উন্নয়নে মেগা প্রকল্প গ্রহণ করা হবে বলে তিনি বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইউজিসি সদস্য ও সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠান বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের। ইউজিসি’র বর্তমান ও সাবেক সদস্যবৃন্দ, পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যবৃন্দ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি’র বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী অনুষ্ঠানে অংশ নেন।