০৯ মে ২০২৩, ১৯:০০

গবেষণায় চৌর্যবৃত্তি করলে অর্থ ফেরত দিতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের

গবেষণা কার্যক্রম  © প্রতীকী ছবি

চলতি অর্থবছর থেকে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃক প্রদত্ত গবেষণাফান্ড থেকে অর্থপ্রাপ্ত বিভিন্ন পাবলিক শিক্ষকরা গবেষণায় চৌর্যবৃত্তি করলে তাদের অর্থ ফেরত দিতে হবে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে ইউজিসি একটি নীতিমালা তৈরি করেছে। নীতিমালা অনুযায়ী, ইউজিসির কাছ থেকে গবেষণা বরাদ্দ গ্রহণের আগে শিক্ষকদের বন্ডে সাক্ষরের মাধ্যমে অর্থ গ্রহণ করতে হবে।

এ বিষয়ে ইউজিসির অর্থ ও হিসাব বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য অধ্যাপক মো: আবু তাহের বলেন, আমরা বাজেট প্রদানের ক্ষেত্রে অর্থের সঠিক ব্যবহার এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিতের চেষ্টা করছি। ইউজিসির বর্তমান পলিসি অনুযায়ী একজন শিক্ষক গবষেণায় বরাদ্দ নিলে তাকে অবশ্যই ভালো মানের জার্নালে সেটি প্রকাশ করতে হবে এবং যদি ২০% এর বেশি প্ল্যাজারিজম পাওয়া যায় তবে তাকে অর্থ ফেরত দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আগে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েই রিসার্চ পলিসি ছিল না। তবে গত দুই বছরে বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ পলিসি তৈরি করেছে। আমরা গবেষণাখাতে বরাদ্দ প্রদানের পূর্বে রিসার্চ পলিসির বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছি। কেউ গবেষণাখাত থেকে অর্থ নিয়ে গবেষণা করবেনা বা প্লাজারিজম করবে এই সুযোগ নেই।

আরো পড়ুন: ‘একক ভর্তি পরীক্ষার অধীনে সব বিশ্ববিদ্যালয়কেই আসতে হবে’

পূর্বের তুলনায় গবেষণায় গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, একজন শিক্ষকের প্রধান কাজ তিনটি। তিনি গবেষণার মাধ্যমে নলেজ ক্রিয়েট করবেন, ক্লাসে শিক্ষার্থীদের সাথে সেই নলেজ শেয়ার করবেন এবং তা কোনো জার্নালে প্রকাশ করবেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এই গবেষণার সুযোগ নিশ্চিতে বিগত কয়েকবছর ধরেই গবেষণায় বরাদ্দও বৃদ্ধি করা হচ্ছে। যেমন ২০-২১ অর্থবছরে গবেষণা খাতে বরাদ্দ ছিল ৬০ কোটি টাকা যেটা ২১-২২ এ করা হয় ১২০ কোটি টাকা এবং ২২-২৩ এ বরাদ্দ আরো বাড়িয়ে ১৫০ কোটি করা হয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এখন বরাদ্দ পেতে আগে রিসার্চ পলিসি দেখাতে হচ্ছে।

আরি্টকেলের মান যাচাইয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, সফটওয়ারের মাধ্যমে প্লাজারিজম চেক করা হবে। কেউ যদি তার আর্টিকেলে রেফারেন্সসহ কোনো তথ্য ব্যবহার করে এবং ২০ শতাংশের বেশি প্লাজারিজম না পাওয়া যায় তবে সমস্যা নেই কিন্তু ২০ শতাংশের বেশি প্লাজারিজম হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অন্যদিকে, ইউজিসির সদস্য সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, গবেষণায় চৌর্যবৃত্তি প্রতিরোধে ইউজিসি এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কোলাবোরেশনেই এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এটি বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। যারা গবেষণার জন্য অর্থ বরাদ্দ নিচ্ছেন তারা এই শর্তে সাক্ষর করেই অর্থ গ্রহণ করছেন।