ভুল স্বীকার করল ইউজিসি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বীর মুক্তিযোদ্ধা মলয় কুমার ভৌমিককে অসম্মান করে পাঠানো একটি চিঠি নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে নিজেদের ভুল স্বীকার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ অক্টোবর ইউজিসির পক্ষ থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর একটি চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে মলয় কুমার ভৌমিককের নামের শুরুতে বীর-মুক্তিযোদ্ধার আগে ‘বীর’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়নি। এতে ‘বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট আইন, ২০১৮’-এর ২(১১) ধারা অমান্য করা হয়েছে।
গত ১৭ অক্টোবর ইউজিসির সচিব ড. ফেরদৌস জামান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, “রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মলয় কুমার ভৌমিককে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১২ সালের ১০ জুলাই সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার চাকরির বয়স দুই বছর বৃদ্ধি করে ৬৫ থেকে ৬৭ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে মর্মে একটি অভিযোগপত্র পাওয়া গেছে।” চিঠিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা মলয় কুমার ভৌমিককে ‘মুক্তিযোদ্ধা’ বলা হলেও ‘বীর’ উল্লেখ করা হয়নি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইউজিসির সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে অবশ্যই বীর মুক্তিযোদ্ধা বলা উচিত। চিঠিটি আমি লিখিনি। যে লিখেছে সে ভুল করেছে। আমাদের প্রতিদিন দেড় থেকে দুই শতাধিক চিঠিতে স্বাক্ষর করতে হয়। সেজন্য এই চিঠিটি সেভাবে দেখা হয়নি। আমার বাবাও একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর ‘বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট আইন, ২০১৮’-এর ২(১১) ধারায় মুক্তিযোদ্ধাদের ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। আইনের এই ধারার ব্যত্যয় ঘটানো হয়েছে ইউজিসির চিঠিতে।