খাগড়াছড়িতে নতুন গুহা আবিষ্কার, ভ্রমন প্রিয়াসীদের জন্য নতুন এ্যাডভেঞ্জার
খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়নের ৩০নং বড়মেরুং মৌজার রথীচন্দ্র কার্বারী পাড়ায় নতুন গুহা আবিষ্কার হতে পারে পর্যটকদের জন্য নতুন এ্যাডভ্যাঞ্জার। স্থানীয় ত্রিপুরাদের দেয়া নাম তাবাক্ষ (বাদুর গুহা) তার সাথেই রয়েছে বিশাল আকারের ঝর্ণা। এক সাথে দুইটাই উপভোগ করা যাবে।
দীঘিনালা সদর থেকে মাত্র ৭ কিলোটিারের গাড়ি করে যাওয়ার পর ৫/১০ মিনিট হাঁটার রাস্তা তারপরই দেখা মিলবে বাদুর গুহা আর ঝর্ণার। খাগড়াছড়ির সদরের আলুটিলা গুহার চেয়েও বিশাল আকারে। দেখতে মনে হয় দুই পাশে পাথরের দেয়াল আর ছাদও পাথর দিয়ে ঢালই করা। আনুমানিক ২০০ থেকে ৩০০ ফুট লম্বা হবে।
রথীচন্দ্র কার্বারী পাড়া বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক রামেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, তাবাকটি (বাদুর গুহা) অনেক আগে প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্টি হয়েছে। গুহাটিতে বাদুর বেশি থাকায় বাদুর গুহা নামে আমরা বলে থাকি। প্রাকৃতিক গ্রহাটি যে এত সুন্দর নিজের চোখে না দেখরে বুঝা যাবে না।
গুহাটি দেখতে এসে অজিত বড়ুয়া বলেন, আমি অনেক পর্যটন স্থানে গিয়েছি এত বড়, এত সুন্দর প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি গুহা আর দেখি নাই, খাগড়াছড়ি আলুটিলার চেয়ে অনেক লম্বা। গুহার দুই পাশ মনে হয় পাথর দিয়ে ঢালই করা দেয়াল আর ছাদেও মনে হয় পাথর দিয়ে ঢালই করা। তবে যেতে অনেকটা সহজ হাঁটার রাস্তা একেবারেই কম। তবে গুহাটি দেখে পর্যটকরা মনভরে যাবে। আমর মনে হয় বাংলাদেশে বাদুর গুহাটি হবে প্রাকৃতিক গুহার মধ্যে প্রথম।
খাগড়াছড়ি সদর থেকে গুহা দেখতে এসে কৃত্তিভূশন চাকমা বলেন, গুহাটি অনেক সুন্দর আমরা ১০/১৫জন বন্ধু নিয়ে দেখতে এসেছি। আমরা গিয়ে আমাদের সকল বন্ধুদের বলব দেখতে আসতে। খাগড়াছড়ির আলুটিলা গুহার চেয়ে অনেক বড় ও অনেক সুন্দর। পাশে ঝর্ণাও রয়েছে।