সৌন্দর্যের মোহনীয় মায়াজাল ভুতিয়ার পদ্মবিল
চলছে শরৎকাল। জলজ ফুলের রানী খ্যাত পদ্ম ফোটার সময়। শরতের আকাশে মেঘ-রৌদ্রের ছন্দে কখনো রোদ কখনো বৃষ্টি। এরই মাঝে ভুতিয়ার পদ্মবিলে উকি দিচ্ছে পদ্ম ফুল। দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেনো রঙ্গের মেলা বসেছে।
ভ্রমণ পিপাসুদের মন ভরিয়ে দেয়া এ স্থানটি খুলনার তেরখাদায়। খুলনার জেলখানা ঘাট পার হয়ে প্রায় ২৩ কি.মি. দূরত্বে তেরখাদা বাজার থেকে এক কিলোমিটারের কাছে পদ্মবিলের অবস্থান।
আঠারবেকি নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে তেরখাদা উপজেলা ও নড়াইল জেলার অংশ বিশেষ নিয়ে প্রাকৃতিকভাবে গড়ে উঠেছে ভূতিয়ার বিল। নীল আকাশের ছাউনিতে ২০ হাজার একর জমির জলাবদ্ধ বিশাল বিলে পদ্মপাতার জলে নিজেকে বিলিয়ে দিতে পারবেন নিশ্চিত। আর সঙ্গে একটু রোদ, মেঘ-বৃষ্টির খেলা হলে তো জবাব নেই।
সকালের দিকে ফোঁটা পদ্ম বেশি দেখা যায়। পড়ন্ত বিকালে ফুলের সঙ্গে অস্তগামী সূর্য আপনার মনের কাব্যিকতা বাড়িয়ে দেবে কয়েকগুণ। বিলের পাশে জেলে পল্লীর মানুষজন প্রবল উৎসাহে ডিঙ্গি নৌকা দিয়ে ঘোরাবে। এখানকার মানুষ প্রবল অতিথিপরায়ণ।
সারা বেলা ঘুরে নৌকার ভাড়া দিতে গেলে মুখ ফুটে কোনো দাবি করবে না। ১০০ থেকে ২০০ টাকা দিলে তো মহাখুশি। এখানকার মানুষ সবাই মৎস্যজীবী। ফুলের দিকে বাড়তি নজর নেই কারও। ফলে পদ্ম ফুটে থাকে স্বগৌরবে।
কথা হয় স্থানীয় বাসিন্দা রুবি আখতারের সাথে। তিনি জানান, শুধু ফুলের কারণেই ভুতিয়ার বিলটি পরিচিত হয়েছে উঠছে। ধীরে ধীরে পরিচিত হওয়ায় ইতিমধ্যে পদ্মের সৌন্দর্য উপভোগ করতে দূর-দূরান্ত থেকে বিলে আসতে শুরু করেছে দর্শনার্থী। ডিঙ্গি নৌকা করে বেড়ানোর কারণে বাড়তি আয়ও হচ্ছে স্থানীয়দের।
বিল ভ্রমণে নুসরাত করিম বলেন, খুলনার ভুতিয়ার বিল ঘুরতে এসেছি। অনেক সুন্দর একটি জায়গা। অনেক পদ্মফুল। শহর থেকে একটু দূরে এত সুন্দর একটা জায়গা আছে, না এলে বুঝতে পারতাম না।
সৌন্দর্য পিপাসুদের কাছে এই পদ্মবিল হয়ে উঠেছে দর্শনীয় স্থান। শরতের বিকালে তাই বেলা পড়লেই এই বিলে ভিড় করতে থাকেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীরা। নৌকায় ঘুরে বেড়ান বিলজুড়ে, পদ্মের সঙ্গে ছবি তোলেন।