২৪ আগস্ট ২০২২, ১৫:০০

ছেলে বন্ধুর আচরণে অতিষ্ঠ, সামলে উঠবেন যেভাবে

সব ধরনের সম্পর্কেই ভালো খারাপ দুই পরিস্থিতির মধ্যদিয়ে যেতে হয়  © সংগৃহীত

সম্পর্ক বেঁচে থাকে দুটি মানুষের যত্নে। অনেক সময় দেখা যায় কিছু ছেলেবন্ধু তার প্রেমিকার সঙ্গে খুব একটা ভালো আচরণ করছেন না। এমন পুরুষ সঙ্গীদের ভাষা, ব্যবহার তাকে অতিষ্ঠ করে তোলে। মানুষ মাত্রই জীবনে সমস্যা থাকবেই। কিন্তু সেটা আপনার উপর নির্ভর করছে, আপনি সেই সমস্যাকে ঠিক কীভাবে নিতে শুরু করেছেন? আপনি যদি নিজের মতো করে সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে না পারেন তবে জটিলতা বাড়বে।

মনে হচ্ছে প্রেমিক তার প্রেমিকার কোন কথাই শুনছেন না। পুরুষ সঙ্গী তাকে বোঝারও যেন চেষ্টা করছেন না। যারা লাইফে এমন ছেলেবন্ধু ভর করেছে, নিশ্চয়ই তাদের জীবন খুব একটা ভালো নেই। একদিকে যেমন সবকিছু ছেড়েছুড়ে বেরিয়ে আসতে পারছেন না, আবার নিজের মত করেও পারছেন না ঠিক করে নিতে। সম্পর্কে পুরুষসঙ্গীকে নিয়ে যারা এমন তিক্ততায় রয়েছেন তারা এমন পরিস্থিতির সঙ্গে যেভাবে লড়াই করতে পারেন, চলুন জেনে নেয়া যাক-

বোঝাতে পারেন
প্রথমেই তাঁকে বোঝাতে হবে। তাঁর এই অভ্যাস যে আপনাকে সমস্যায় ফেলছে এটা লুকিয়ে রাখলে চলবে না। তাঁকে বলুন, কেন সমস্যা আর কী কারণে সমস্যা হচ্ছে। এই বিষয়গুলি আপনি বুঝিয়ে বলতে পারলেই অনেক ক্ষেত্রে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। তাই সতর্ক হয়ে যেতে শিখে নিন।

পাত্তা দেবেন না
এই অবস্থায় আপনি যদি তাকে বেশি পাত্তা দেন, তবে তার ব্যবহার আরও খারাপ হয়ে যাবে। তিনি আপনাকে যত খারাপ কথাই বলুক না কেন, আপনি ভুল করেও সেই কাজটি করতে যাবেন না। এক্ষেত্রে সমস্যা বহুগুণ বাড়তে পারে। তাই সতর্ক হয়ে যাওয়াটা খুবই জরুরি। 

আরও পড়ুন: ঢাকার কাছে কম খরচের ১০ রিসোর্ট

কথা শুনিয়ে দিন
উনি আপনাকে যখন কথা শোনাতে পারছেন, ঠিক তখনই আপনাকেও কিন্তু গর্জে উঠতে হবে। এক্ষেত্রে ভুল ভ্রান্তি হলে সেটা তখনই মিটিয়ে নেওয়া দরকার। মনে রাখবেন, আপনি চুপ থাকলে তিনি আরও খেলার জায়গা পেয়ে যাবেন। তিনি মনে করবেন যে এমনটা সহজেই করা যায়। আর আপনি হতে থাকবেন সমস্যার শিকার। তাই এই ভুলটা একবারেই করা যাবে না। বরং আপনার মাথায় রাখা উচিত যে এক্ষেত্রে কিছু জিনিস সহ্য করতে শুরু করলে একসময় তা খারাপ দিকে মোড় নেবে।

সহানুভূতি খুঁজবেন না
অনেকেই এই ভুলটা করেন। সহানুভূতি খুঁজতে চান। এক্ষেত্রে তাদের মাথায় থাকে না যে এভাবে সহানুভূতি চাইলে আদতে সমস্যা বহুগুণ বাড়তে পারে। তাই সতর্ক হয়ে যাওয়া খুবই জরুরি। আসলে দেখা গিয়েছে যে সহানুভূতি চাইলে আপনার বয়ফ্রেন্ড আপনাকে ছোট ভাবতে পারেন। তিনি এটা বুঝে নিতে পারেন যে আপনি মানসিকভাবে দুর্বল। তাই এই ভুলটা একবারেই এড়িয়ে যান।

অন্য পথ দেখুন
এতকিছু করার পরও মানুষটি না শুধরালে, তখন অন্য পথ দেখতে হবে। এক্ষেত্রে আপনাকে বুঝতে হবে যে এটা ঠিক হচ্ছে না। সেই পরিস্থিতিতে সমস্যা দেখা দিলেও দিতে পারে। এই অবস্থায় কাউন্সিলরের পরামর্শ নিয়ে নিন। আর তা সম্ভব না হলে নিজের রাস্তা আলাদা করার জন্য প্রস্তুতি নিন। কারণ এভাবে বেশিদিন থাকা যায় না।