ভর্তিতে সাবজেক্ট চয়েজ বিড়ম্বনা ও করণীয়
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর ছাত্রছাত্রীরা তার স্ব স্ব সাবজেক্ট নিয়ে সব থেকে বেশি হতাশায় ভোগে। এডমিশনের সময় বা তারও আগে থেকে একটা নির্দিষ্ট সাবজেক্টে পড়ার স্বপ্ন নিয়ে পড়ালেখা করে। কিন্তু এডমিশন টেস্টে ভালো সিরিয়ালে না থাকার কারণে অনেকেই নিজের স্বপ্ন বা পছন্দের সাবজেক্ট পায় না।
যারা প্রথমদিকে থাকতে পারে, তারা ইচ্ছামত যেকোনো বিষয়ে ভর্তি হতে পারে। যাদের সিরিয়াল একটু দূরে থাকে তাদের বাধ্য হয়ে অপছন্দের একটা সাবজেক্টে ভর্তি হতে হয়। পূর্বে হয়তো কল্পনাও করেনি এ সাবজেক্টে অনার্স পড়তে হবে।
যারা সাবজেক্ট চয়েজ দেওয়া নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়বেন, তাদের প্রতি একটাই অনুরোধ আপনার যেই সাবজেক্ট ভালো লাগবে সেইটাই নিবেন। যেটা পড়ে আপনি ভালো কিছু করতে পারবেন বলে মনে করেন এমন সাবজেক্টগুলোকে বেশি প্রায়োরিটি দিবেন।
ইংরেজি ভার্সনের সাবজেক্ট নিলে বেশি ফলদায়ক হবে, ইংরেজির স্কিল, শব্দভাণ্ডার বাড়বে। এমনও ব্যক্তি আছে সে যে সাবজেক্টে পড়ে সেটাকেই উপরের দিকে স্থান দিবে, বলবে এটাই বেস্ট। ভুলেও তাদের কথায় কান দিবেন না। পরে ভালো না লাগলে সেই বড় ভাই/আপুকেই সারাজীবন বকবেন।
আমার মনে হয় সাবজেক্ট চয়েজের ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল সাবজেক্টগুলোকেই উপরের দিকে স্থান দেয়া উচিত। এক্ষেত্রে প্ল্যান বি হাতে থাকে যেমন হাইস্কুল নিবন্ধন, কলেজ নিবন্ধন এবং শিক্ষা ক্যাডার।
আরও পড়ুন : ভর্তিচ্ছুদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ দফা নির্দেশনা
এগুলো বাদে অন্য সাবজেক্টগুলো নিলে শিক্ষার একটা সাইডই ব্লক থাকে বলতে গেলে। আপনি ইচ্ছা করলেই স্কুল, কলেজের চাকরি কল্পনাও করতে পারবেন না। যদি শিক্ষার সাইডে আসার ইচ্ছা না থাকে তাহলে ভিন্ন কথা।
একটা সাবজেক্ট আপনার সারাজীবনের আইডেন্টিটি। কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবেন, কোন সাবজেক্ট নিবেন, কোনগুলো চয়েজ লিস্টে উপরের দিকে রাখবেন সেগুলো আগে থেকেই জেনে নিবেন। ওই ডিপার্টমেন্টে টিচাররা কেমন, টিচার কতজন, সেশনজট আছে কিনা, অ্যালামনাই কেমন, সিজিপিএ কেমন ওঠে ইত্যাদি ইত্যাদি।
মনে করেন আপনার বিয়ে করা বউকে যেমন ইচ্ছা করলেই ছেড়ে দিতে পারবেন না, তেমনই একটা সাবজেক্টে ভর্তি হয়ে গেলে আর পরিবর্তন করতে পারবেন না।
বিষয়গুলো জেনে নিবেন যাতে পরবর্তীতে হতাশায় ভুগতে না হয়। যদিও দিনশেষে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সাবজেক্ট আহামরি কিছুনা। Purely personal opinion, one can disagree.
লেখক: হাবিব রেজা
শিক্ষার্থী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ;
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়