মন খারাপের কারণ চারটি হরমোন, ভারসাম্য রাখবেন যে ১১ উপায়ে
অনেকের হুটহাট করে মনে খারাপ হয়ে যায়। অনেক চেষ্টা করেও ভালো করতে পারেন না। কিন্তু মন ভালো রাখাটা অত্যন্ত জরুরি। মনখারাপের কারণে বেড়ে যেতে পারে অনেক রোগের আশঙ্কা। মন ভালো রাখার সঙ্গে অনেক হরমোনের যোগসূত্র রয়েছে। সেগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে।
মন ভালো রাখার জন্য চারটি হরমোনের ভূমিকা রয়েছে। এগুলোর ভারসাম্য থাকলে মন ভালো থাকে। চারটি হরমোন হলো ডোপামাইন, সেরোটোনিন, অক্সিটোসিন ও এনডরফিন। বিশেষজ্ঞদের মতামতের আলোকে হরমোনগুলো ভারসাম্য ঠিক রাখার কয়েকটি উপায় বলে দিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
১. প্রতিদিন অন্তত ১৫ মিনিট রোদে কাটান। এতে ভিটামিন ডি-র মাত্রা ঠিক থাকবে। এর প্রভাবে সেরোটোনিন ও এনডরফিন হরমোনের ভারসাম্য ঠিক রাখা যায়।
২. বন্ধুদের সঙ্গে হাসি ঠাট্টায় কিছুটা সময় কাটিয়ে দিন। এতে এনডরফিন ক্ষরণের মাত্রা বাড়লে মন ভালো হয়ে যাবে।
৩. চিকিৎসকের পরামর্শে কিছু খাবার বা সাপ্লিমেন্ট খেতে পারেন। এতে হরমোনগুলোর ক্ষরণ বাড়বে। দই খেলেও মন ভালো থাকে।
৪. ভালোবাসার মানেুষের সঙ্গে মিলেমিশে রান্না করুন। কিছু খাবার বানান, যেগুলো আপনি খেতে ভালোবাসেন। রান্না ও খাবার খাওয়া— দুটোই মন ভালো করে দেয়।
৫. দিনের কিছু সময় গান শুনুন। এটি মন ভালো রাখতে দারুণ কার্যকর। এতে ডোপামাইন হরমোনের ক্ষরণও অনেক বাড়ে।
৬. দিনে অন্তত ১৫ মিনিট শরীরচর্চা করুন। এতে এনডরফিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়লে মন ভলো হয়ে যায়
৭. মন ভালো রাখতে প্রতিদিন কিছু সময় মেডিটেশন করুন। এতে ডোপামাইন হরমোনের ক্ষরণ বাড়লে মন ভালো থাকবে।
আরো পড়ুন: ত্বকের তারুণ্য বজায় রাখার ৮ উপায়
৮. প্রেম বা ভালোবাসার সম্পর্কে থাকলে অক্সিটোসিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে। এটিও মনখারাপ কমিয়ে দেবে। মাঝে মধ্যে ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে সময় কাটান।
৯. যে কাজ মানসিক চাপে রাখে, সেগুলো থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন। এতে মন ভালো থাকবে।
১০. মাসাজ বা মালিশ চারটি হরমোনেরই ক্ষরণ বাড়ায়। মন ভালো রাখতে নিয়মিত মাসাজ করার চেষ্টা করুন।
১১. রাতে অন্তত সাত ঘণ্টা ভালো ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে শরীরে ডোপামাইন হরমোনের ক্ষরণ বাড়লে মন খারাপ কমে যাবে।