রাবি ভর্তিযুদ্ধে এগিয়ে থাকার ৫ কৌশল
- রায়হান ইসলাম, রাবি
- প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০২২, ০১:০০ PM , আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২৩, ০২:২২ PM
ভর্তিযুদ্ধে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অন্যতম পছন্দ। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আসন নিশ্চিতে ভর্তিচ্ছুরা কত কিছুই না করেন! অনেকে দিনরাত এক করে পড়াশোনা করেন, প্রস্তুতি নেন। বাসায় প্রস্তুতি নেন, কেউ আবার কোচিংয়ের সহায়তা নেন। কিন্তু কারো যেন প্রস্তুতি থেমে থাকে না।
লক্ষ্য শুধু- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি আসন নিশ্চিত করে বহুল কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন পূরণ করা। তবে প্রত্যাশা থাকলেও শেষ সময়ে এসে বিভিন্ন কারণে লক্ষ্যচূত হয় অনেক ভর্তিচ্ছু। তাই কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন পূরণ করতে জেনে রাখুন রাবি ভর্তিযুদ্ধে এগিয়ে থাকার ৫টি কৌশল...
বেশি বেশি মডেল টেস্ট চর্চা
নিজে নিজে কিংবা গ্রুপ করে মডেল টেস্ট চর্চা করলে প্রস্তুতি শক্তিশালী হতে পারে। কম সময় নির্ধারণ করে এসব মডেল টেস্ট চর্চা করলে ভর্তি পরীক্ষায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রশ্নোত্তর করা সহজ হয়। তাছাড়া ভর্তি পরীক্ষায় অনেকের নির্ধারিত সময় শেষ হলেও অনেক প্রশ্ন ছেড়েই আসে। ফলে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ার সম্ভবনা থাকে।
ব্যতিক্রম টপিকে গুরুত্বারোপ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নে ব্যতিক্রম টপিকে গুরুত্ব দেয়। ফলে এসব টপিক থেকে প্রতিবার উল্লেখযোগ্য পরিমাণ প্রশ্ন থাকে। তাই প্রতিটি বিষয়ের ব্যতিক্রম টপিকগুলো দখলে থাকলে ‘এ’ ইউনিটে এগিয়ে থাকা অনেকটা সহজ হবে।
অতিরিক্ত টপিক বাদ দেয়া
যাদের প্রস্তুতি মোটামুটি ভালো, শেষ সময়ে তাদের সব টপিকে গুরুত্ব দেয়া প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ার কারণ হতে পারে। তাই বিগত বছরের প্রশ্নের ধারণা নিয়ে টপিক বাছাই করে সেগুলোতেই গুরুত্ব দেয়া দরকার। অতিরিক্ত টপিক পড়তে গিয়ে প্রতিযোগিতায় গোঁজামিল না পাকানোই শ্রেয়।
বিশেষ কিছু টপিকে দখল থাকা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় 'এ' ইউনিটে বাংলা, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞান অংশ থেকে প্রশ্ন হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে প্রতিটি বিষয়ের কিছু নির্ধারিত টপিক থেকে প্রতিবার প্রায় ৫০% প্রশ্ন হয়ে থাকে। বাংলা ও ইংরেজি ব্যাকরণের বেসিক টপিক এবং সাধারণ জ্ঞানের বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক অংশের যাকিছু স্থায়ী, সেই টপিকগুলো দখলে রাখতে হবে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় সম্প্রতিক টপিকের প্রশ্ন কম থাকে। একইভাবে বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শাখা ইউনিটের জন্য বিষয় ভিত্তিক বেসিক টপিকগুলোতে দখল থাকতে হবে। যাতে ঘুরিয়ে-পেচিয়ে যেভাবেই প্রশ্ন আসলেও উত্তর করা সম্ভব হয়।
ওভার কনফিডেন্সে ত্যাগ
প্রতিবার অনেক ভর্তিচ্ছু থাকে, যারা ওভার কনফিডেন্স নিয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসে। সব পড়াই আছে, এসব তো পারবই- এমন ধারণা করে পরীক্ষার সেন্টারে বসার প্রহরগুণতে থাকে। অপরদিকে পরীক্ষার খাতায় এসে আর উত্তর করতে পারে না। তাই এমন চিন্তা না করে অল্প অল্প করে বাছাইকৃত টপিকগুলো রিভিশন দিয়ে প্রস্তুতি শক্তিশালী করতে হবে।
সর্বপরি মনে রাখা আবশ্যক যে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হয় পরীক্ষার্থীদের বাদ দেয়ার জন্য। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ও সেটার বিপরীত নয়। তাই অল্প সময়ের মধ্যে নিজেকে গুছিয়ে যে যতটা কার্যকরী প্রস্তুতি নিতে পারবে, সে ততটা এগিয়ে থাকবে। হতাশ না হয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যহত রাখার মধ্যেই কেবল সফলতা নিহিত।