১৫ জুলাই ২০২২, ১৬:২৮

রাবি ভর্তিযুদ্ধ: শেষ মুহূর্তের ৪ করণীয় 

ভর্তি পরীক্ষার্থী  © ফাইল ছবি

দেশের অন্যতম সেরা বিদ্যাপীঠ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। সপ্তাহ পরেই নিজের যোগ্যতার লড়াইয়ে নামবে ভর্তিচ্ছুরা। এবছর প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বে ৪৪ জন শিক্ষার্থী। তাই সকলকে পেছনে ফেলে মতিহারের সবুজ চত্বরে নিজের একটা আসন নিশ্চিত করতে দিন-রাত পরিশ্রম করছে হাজারো স্বপ্নবাজ। 

এদিকে যোগ্য নবীনদের বরণ করতে চির সবুজ প্রাঙ্গণে হাতছানি দিচ্ছে একঝাঁক নীল-সাদা বাস। সজীব হয়ে উঠছে শিক্ষার্থীদের আবেগের তীর্থস্থান প্যারিস রোড। তাই ভর্তিযুদ্ধের শেষ মুহূর্তে নিজেকে টিকে রাখতে জরুরি ৪ করণীয়....

আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি

একজন মানুষের পতন তখনই শুরু হয়, যখন সে নিজের আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। 'পারছি না, হচ্ছে না, অনেক পিছিয়ে আছি, বিশাল সিলেবাস পড়ে শেষ হচ্ছে না'- এমন হাজারো নেতিবাচক চিন্তা করে হতাশ হলে চলবে না। বরং বিশাল সিলেবাসকে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে পড়া শেষ করতে হবে, মিথ্যে অযুহাতে পড়া থেকে বিরত থেকে 'পারছি না' বলা ত্যাগ করতে হবে। পুরো উদ্যমে বাকি সময়টুকু পরিশ্রম করে নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর মাঝেই সফলতা নিহিত। তাই শেষ মুহূর্তের প্রতিযোগিতায় আত্মবিশ্বাস বাড়ানো জরুরি। 

কার্যকরী চিন্তাশক্তি

শেষ মুহূর্তে এসে পুরো বিশ্ব মুখস্থ রাখার সংগ্রাম জারি রাখা কার্যকরী কোন সিদ্ধান্ত নয়। কেননা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কিছু নির্দিষ্ট টপিক থেকে প্রতিবছরই প্রশ্ন হয়ে থাকে। তাই অন্যান্য টপিকের পাশাপাশি বিগত বছরের প্রশ্নব্যাংক পর্যালোচনা করে নির্দিষ্ট টপিক গুলো বেশি বেশি রিভিশন দেয়া। এছাড়া ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সব বিষয়ের বেসিক জ্ঞান থাকা বাঞ্ছনীয়। 

ব্যতিক্রম টপিকে দখল থাকা

সব বিষয়ের যা কিছু ব্যতিক্রম, তা অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। কারণ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিবার ব্যতিক্রম টপিক থেকে ৫-৭% প্রশ্ন থাকে। তবে প্রতিটি বিষয়ের ব্যতিক্রম টপিক খুব বেশি থাকে না। তাই এই টপিকে দখল থাকলে ভর্তিযুদ্ধে নিজেকে একধাপ এগিয়ে রাখা সম্ভব হবে।

শুধু বহুনির্বাচনি প্রশ্ন পড়ার অভ্যাস ত্যাগ

শেষ মুহূর্তে এসে ঢালাওভাবে ঘন্টার পর ঘন্টা বহুনির্বাচনি প্রশ্ন পড়ার চেয়ে অপশন না দেখে পড়া তথা এককথায় প্রশ্নত্তোর পড়া বেশি কার্যকরী। কারণ অপশন দেখে পড়লে পরবর্তীতে কনফিউশান তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাছাড়া পরীক্ষা কক্ষে মানসিক চাপ বেশি থাকায় বেশি ভুল হয়। তাই শুধু বহুনির্বাচনি প্রশ্ন না পড়ে এককথার প্রশ্ন পড়ার অভ্যাস বাড়াতে হবে। তাছাড়া পড়ার পাশাপাশি বেশি বেশি লেখার অভ্যাস থাকা আরো বেশি কার্যকরী। গবেষণায় দেখা গেছে, পড়ার পাশাপাশি কোন কিছু লিখলে সেটা বেশিক্ষণ স্মৃতিতে সংরক্ষিত থাকে।