চবির প্রস্তুতিতে পাঠ্যবই যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন বিসিএসের প্রশ্ন সমাধানও

চবি
চবি  © সংগৃহীত

প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে নিজস্ব প্রশ্নপদ্ধতি। তেমনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় যে প্রশ্নপদ্ধতি অনুসরণ করা হয় এবং এতে উত্তীর্ণ হতে সাধারণত শিক্ষার্থীদের যে সকল বিষয় অনুসরণ করা উচিৎ তা নিচে তুলে ধরা হলো। বিগত বছরের প্রশ্ন পড়া ছাড়া চবিতে চান্স পাওয়া অসম্ভব।

বিগত বছরের প্রশ্ন থেকে ১৫-২০% হুবহু কমন পড়বে এবং ব্যাখ্যাসহ ওই সব টপিকসগুলা থেকে ৬০-৭০% কমন পড়বে৷ চবির জন্য শুধু বইয়ের সবকিছু পড়লেই পারফেক্ট প্রস্তুতি হয় না। বিসিএস প্রশ্ন ব্যাংক ১০ থেকে ৪৩তম বিশ্লেষণ সহকারে পড়া বাধ্যতামূলক।

কীভাবে পড়বেন/কোন বই থেকে পড়বেন: ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আশাকরি আপনারা মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন, এই মূহূর্তে আপনাদের যেভাবে প্রিপারেশন নেওয়া উচিৎ! আপনাদের জায়গায় হলে যেভাবে প্রস্তুতি শানিয়ে নিতাম তা বর্ণনা করছি।

বাংলা প্রস্তুতির কীভাবে নিবেন: চবিতে বাংলা খুব একটা কঠিন হয় না। বিগত ১০-১২ বছরের প্রশ্ন যদি ব্যাখ্যাসহ পড়তে পারো, তবে ৪-৬টি প্রশ্ন অনায়াসেই কমন পেতে পারেন। চবিতে বাংলা অংশে প্রায়ই লোকসঙ্গীত, বিভিন্ন পালা-পার্বণ, কালচারাল হেরিটেজ এগুলো নিয়ে প্রশ্ন করা হয় তাই এগুলো একটু করে দেখে দেখে পড়বো।

A ইউনিট: বাংলা ১০ (বাধ্যতামূলক) ইংরেজি ১৫ (বাধ্যতামূলক), গণিত, পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, এই চারটির যেকোনো তিনটির উত্তর দিতে হবে। এক্ষেত্রে তিনটিতে ২৫ নম্বর করে ৭৫ মার্কস। এক্ষেত্রে উত্তীর্ণ হতে বাংলায় ৩, ইংরেজিতে ৪ ও বাকী তিনটিতে ১০ মার্কস করে পেতে হবে।

A ইউনিটের জন্য বিগত সনের প্রশ্নব্যাংক অনুসরণ করা যেতে পারে তবে। এছাড়া বিষয়ভিত্তিক মূল বই অবশ্যই, বাংলা এবং English for competitive exams/Master পড়তে পারেন।

B ইউনিট: বাংলা ৩৫, ইংরেজি ৩৫, সাধারণ জ্ঞান ৩০ মার্কস। সর্বমোট ৪০ পেলে পাস। তবে যারা চারুকলা, নাট্যকলা ও সংগীত বিভাগে ভর্তি হতে ইচ্ছুক, তারা ২০ মার্কের অতিরিক্ত ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।

B Unit এ বাংলা ৩৫ মার্কস আসে। এর মধ্যে প্রায় ১৭-১৮টি টেক্সট বইয়ের গদ্য ও পদ্য থেকে আসে এবং সেগুলো তেমন ক্রিটিক্যাল হয় না। আর ব্যাকরণ অংশের জন্য বিগত বছরের প্রশ্নগুলো সহ ব্যাকরণের বোর্ড বইটাই যথেষ্ট। এই ইউনিটে প্রায় ৭-৮টি টেক্সট বইয়ের লেখক পরিচিতি থেকে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া প্রায় প্রতি বছরেই প্রায় ৪-৬টি প্রশ্ন মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত হয়ে থাকে, যা সাধারণ জ্ঞান অংশ থেকে পড়াই ভালো।

C ইউনিট: ইংরেজি ৩০, হিসাববিজ্ঞান ৩৫, ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ ৩৫। এক্ষেত্রে ইংরেজিতে ৮, হিসাব বিজ্ঞানে ১২ এবং ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগে ১২ পেয়ে পাশ করতে হবে। সর্বমোট ৪০ পেলে পাশ।

C ইউনিটের জন্য বিষয়ভিত্তিক মূল বই, Master/English for competitive Exam এবং বিগত সনের প্রশ্নব্যাংক অনুসরণ করা যেতে পারে। চবির B ও D ইউনিটের জন্য বাংলা- নবম দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ, উচ্চ মাধ্যমিকের বাংলা ১ম পত্র, সৌমিত্র শেখর এর বাংলা ব্যাকরণ অনুসরণ করতে হবে।

এবারের D Unit একটু আলাদা। তবে প্রশ্ন কাঠামো খুব একটা হেরফের হয়তো হবেনা। তবে সমাস, কারক, প্রকৃতি-প্রত্যয়, উপসর্গ, বিরামচিহ্ন, পত্র-লিখন, বাক্য-সংকোচন এগুলোর উপর বিশেষভাবে জোর দিতে হবে। এছাড়া বাদবাকি প্রিপারেশন প্রথাগতই। আর হ্যাঁ, অবশ্যই সাম্প্রতিক কালের বাংলাদেশের সাহিত্যিকদের সম্পর্কে পড়ে যেতে হবে।

সাধারণ জ্ঞান: সাধারণ জ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য যে বিষয়গুলোর উপর পরীক্ষা দিতে হয়, তার সবগুলোই শিক্ষার্থীরা উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে পড়ে আসে। এটি মূলত কোন নির্দিষ্ট বিষয়ও নয়; আমাদের দেশ, ইতিহাস, ঐতিহ্য, আমাদের পৃথিবী, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ, পৃথিবীর ইতিহাস, রাজনীতি, অর্থনীতি, সাম্প্রতিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলী, সাম্প্রতিক বৈশ্বিক অবস্থা, খেলাধুলা, ইত্যাদি বিষয়গুলোর সমন্বয়ে সাধারণ জ্ঞান।

আপনাদের নিজের মত অথবা কোচিং সেন্টারের দিকনির্দেশনায় যে যে বই, শিট, নোটিস পড়েছেন সেগুলোই যথেষ্ট। নতুন করে কিছুই পড়ে যাওয়ার নেই।

ইংরেজি: যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সম্পর্কে একটি কথা সবসময়ই বলা হয়, 'ইংরেজিতে পাশ তো নিশ্চিত চান্স।' চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে কথাটি বোধ হয় আরও সত্য। অনেকের মনে হতে পারে, Cliffs, TOEFL বা অন্য কোন বই থেকে কোন অংশগুলো পড়া উচিত?

Grammar Section for revision:

  1. Number of Noun
  2. Uncountable Problems
  3. Gender of Noun
  4. Adverds
  5. Appropriate Prepositions
  6. Right from of verb
  7. Conditional Sentence
  8. Voice
  9. Narration
  10. Tag Question
  11. Phrases and Clause
  12. Translation and proverbs
  13. Antonyms &Synonym
  14. Phrases & Idioms
  15. Spelling Mistakes
  16. Analogy
  17. Pin Point Error

সুস্থ থাকা: বর্তমান সময়ের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার হলো সুস্থ থাকা। মহামারির এ সময়টিতে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। যেমন- মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, ভিড় এড়িয়ে চলা ইত্যাদি। সফলতার জন্য সুস্থতা অপরিহার্য।

মানসিকভাবে শক্ত থাকা: ভর্তি পরীক্ষার এ সময়টিতে আত্মপ্রত্যয়ী থেকো। খুব বেশি মানসিক চাপ নেয়ার প্রয়োজন নেই। রুটিন মাফিক চললে অবশ্যই সবকিছুই সহজ হয়ে যাবে। সর্বোপরি মানসিকভাবে শক্ত থেকো।


সর্বশেষ সংবাদ