সুইস ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে পারেন যেভাবে
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২২, ০৭:৫২ PM , আপডেট: ১৯ জুন ২০২২, ০৭:৫২ PM
সুইজারল্যান্ড সরকারের আর্থিক সব কাজের নিয়ন্ত্রণ এবং আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত এমন সব প্রতিষ্ঠানের তদারকি করে সুইস ফিনান্সিয়াল মার্কেট সুপারভাইজারি অথরিটি সংক্ষেপে এফআইএমএনএ ও সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাদের অধীনে যত ব্যাংক আছে তাদের সবগুলোকে একসঙ্গে সুইস ব্যাংক বলে। বর্তমানে সুইজারল্যান্ডে তিনশো’র অধিক ব্যাংক রয়েছে।
যদি আপনি সুইস ব্যাংক হিসাবের সকল সুবিধা-অসুবিধা সম্পর্কে ধারণা রেখে নতুন হিসাব চালু করতে চান, তাহলে একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়ার জন্য তৈরী হতে হবে। অধিক নিরাপত্তা রক্ষার জন্য সুইস ব্যাংকগুলো তাদের নতুন গ্রাহকদেরকে নিয়ে প্রচণ্ড অধ্যবসায়ী। আপনার বৈধ পরিচয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া ছাড়াও আপনাকে সমস্ত সম্পদের উৎস দেখাতে হবে।
আপনি আয় কীভাবে করেন এবং আপনার সমস্ত অর্থ কোথা থেকে আসে, এই সমস্ত ব্যাপার পুরোপুরি জানার পরেই ব্যাংক কর্তৃপক্ষ পরবর্তী ধাপে যাবে। বড় অংক ডিপোজিট করার ক্ষেত্রে আপনাকে আপনার অন্য ব্যাংক হিসাবের স্টেটমেন্ট দেখানোর প্রয়োজনও হতে পারে এবং প্রয়োজনে সেই টাকার উৎসের যথাযথ কাগজপত্রও।
আরও পড়ুন: সুইস ব্যাংক নামে কোন ব্যাংকই নেই সুইজারল্যান্ডে!
বিদেশিদেরকে মূলত নিজে সশরীরে উপস্থিত হয়েই হিসাব খোলার জন্য আবেদন করতে হয়। একটি কথা মনে রাখতে হবে, আপনাকে এবং আপনার সমস্ত সম্পদের উৎস সম্পর্কে ভালোভাবে না জানা পর্যন্ত কিন্তু ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনার নতুন হিসাব খোলার অনুমতি দেবে না। তাই কেউ যদি এক নিমেষে সুইজারল্যান্ডে গিয়ে ব্যাংক হিসাব খোলার চিন্তা করে থাকেন, তাহলে সেটা ঠিক সমীচীন হবে না।
ন্যূনতম ১৮ বছর বয়স, একটি বৈধ পাসপোর্ট ও অর্থের ঠিকঠাক সার্টিফিকেট থাকলেই সুইজারল্যান্ডের একটি ব্যাংকে অর্থ জমা রাখা যায়। তবে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে গ্রাহককে জমা রাখতে হবে ৫ হাজার সুইস ফ্রাঙ্ক। ব্যাংক ভেদে এই জামানতের পরিমাণ ভিন্ন হয়ে থাকে।
সুইস ব্যাংকগুলোতে বেনামী হিসাব খোলার সুযোগ নেই। কোন ব্যাংক গ্রাহকের একাউন্টটি হয়তো সংখ্যা দিয়ে চিহ্নিত থাকবে, কিন্তু গ্রাহকের আসল পরিচয় ব্যাংকের অল্প কয়েকজন কর্মকর্তা অবশ্যই জানবেন। সুইস ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, গোপনীয়তার অধিকার সুইস আইন ব্যবস্থার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ এবং ফেডারেল সংবিধান দ্বারা তা সুরক্ষিত।
তবে কোন অপরাধের ক্ষেত্রে এই সুরক্ষা কাজ করবে না। অর্থাৎ সেখানে গচ্ছিত অর্থ যদি কোন অপরাধের সঙ্গে সম্পর্কিত হয়, তাহলে সেক্ষেত্রে গ্রাহকের পরিচয় প্রকাশে কোন বাধা নেই। সুইস ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের ওয়েবসাইটে বলা হয়, ‘‘অপরাধের তদন্তের ক্ষেত্রে সুইস ব্যাংকগুলো তাদের গ্রাহকদের পরিচয় প্রকাশে বাধ্য, সেই অপরাধ সুইজারল্যান্ডেই হোক, আর অন্য কোন দেশেই হোক।’’