আমের পুষ্টি এবং স্বাস্থ্য উপকারিতা

আম সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর একটি ফল।
আম সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর একটি ফল।  © সংগৃহীত

আম সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর একটি ফল। আমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি পাওয়া যায়। দেশি এবং বুনো জাতের নাম না জানা আম রয়েছে। ল্যাংড়া, ফজলি, হিমসাগর,কাঁচামিঠা, আশ্বিনা, বাদশা ভোগ বা রাণীভোগ, সূর্যপুরী, মালদা এবং বারোমাসি আমের গাছ। 

আমের কথা শুনলেই প্রথমেই আসে রাজশাহী বা চাঁপানবাবগঞ্জের নাম। তবে  দুটি জেলা ছাড়াও রাজশাহী বিভাগের বগুড়া, কুষ্টিয়া, যশোর, দিনাজপুর, সাতক্ষীরা এবং বাংলাদেশের অন্যান্য জেলাগুলোতেও প্রচুর আমের ফলন হয়। যা বেশ ভালো মানের এবং স্বাদের। খাগড়াছড়ির মতো পাহাড়ি এলাকাতেও আমের ফলন হচ্ছে। বগুড়ায় হরেক রকমের আমের ফলন হয়।

কেউ আম এতই পছন্দ করেন যে তারা দিনে ৫-৬টি আম খান কিন্তু তা  ঠিক নয়। বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগী এবং মোটা ব্যক্তিদের জন্য। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন ২ কাপ বা ৩৫০ গ্রামের কম আম ফল খাওয়া উচিত। ১০০ গ্রামে প্রায় ৬০ ক্যালোরি থাকে। মোট আমে ২০২ ক্যালরি থাকে।

পাকা আম আমাদের ত্বক কে সুন্দর, উজ্জ্বল ও মসৃণ করে। আম আমাদের ত্বকের ভেতর ও বাইরে থেকে সুন্দর রাখতে সাহায্য করে। আম আমাদের ত্বকের লোমের গোড়া পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে ও ব্রণের সমস্যা সমাধানে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। আম খেলে চুলের সমস্যাও দূর হয়।

আরও পড়ুন:১৫ জুন থেকে তিন সপ্তাহ কোচিং সেন্টার বন্ধ

আমে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। যেটি  হার্ট এর সুরক্ষা দান করে। আম মিনারেলস এর ভালো উৎস। আমে কপার এবং ফোলেট এর আধিক্য আছে যা প্রেগনেন্সি তে ফেটাস এর গ্রোথ এ সাহায্য করে। ভিটামিন সি কোলাজেন প্রোটিন তৈরি করে যা আমাদের ত্বককে সুস্থ রাখে

আমে রয়েছে পর্যাপ্ত  ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স। এই ভিটামিন আমাদের শরীরের স্নায়ুগুলোতে অক্সিজেনের সরবরাহ সচল রাখতে সাহায্য করে। আমাদের শরীরকে রাখে পুরোপুরি সতেজ। যার ফলে খুব দ্রুত ঘুম আসতে সাহায্য করে।

আপনি যদি প্রতিদিন এককাপ আম খেতে পারেন তাহলে এটি আপনার শরীরে ভিটামিন ‘এ’ এর চাহিদার প্রায় পঁচিশ শতাংশের যোগান দিতে পারবে। ভিটামিন ‘এ’ আমাদের চোখের জন্য খুবই উপকারী। এটি আমাদের চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং রাতকানা রোগ থেকে রক্ষা করে।

অতএব আমের উপকারিতা অপরিসীম। আমের সিজন চলেই এসেছে। অবশ্যই আপনি এবং আপনার পরিবারের সদস্যরা আম খাবেন। তবে পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত আম খেতে হবে।ইতিমধ্যে বিভিন্ন জয়াগার আম বাজারে উঠে গেছে।