বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিযুদ্ধে টিকে থাকুন ৭ কৌশলে
কিছুদিন পর শুরু হচ্ছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিযুদ্ধ। কাঙ্ক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির স্বপ্ন নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছেন দেশের লাখো ভর্তিচ্ছু। প্রত্যাশা শুধু স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা আসন নিশ্চিত করা এবং বহুল প্রত্যাশিত ক্যাম্পাসে নিজের স্বপ্নকে মেলে ধরা। স্বপ্ন থাকলেও কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যের প্রধান বাঁধা ভর্তি পরীক্ষা। হাজারো প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে নিজের একটা আসন নিশ্চিত করা যেমন কষ্টের, তেমনি ভাগ্যের ব্যাপারও বলা চলে।
কিন্তু প্রত্যাশা যদি হয় প্রবল ও আত্মবিশ্বাস যদি থাকে দৃঢ়, তাহলে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে স্বপ্ন পূরণ অসম্ভব কিছু নয়। তাহলে স্বপ্ন তো পূরণ হয়েই গেল। এখন নিজেকে শুধু বহুল প্রত্যাশিত জায়গায় মেলে ধরার পালা। তাই ভর্তিযুদ্ধে অংশ নেয়ার আগে নিজেকে চূড়ান্তভাবে প্রস্তুত করতে কিছু কৌশল অবলম্বন জরুরী। তাহলে জেনে নেয়া যাক ভর্তিযুদ্ধে টিকে থাকার এমন কার্যকরী ৭ কৌশল-
- শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত আত্মবিশ্বাস ধরে রাখা। প্রতিদিন ৮/১০ ঘন্টা পড়াশোনা করছি, কিন্তু কিছুই যেন মনে থাকছে না। না, আমার দ্বারা আর সম্ভব না। আমি পারব না। এমন চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে। হতাশ না হয়ে নিজেকে শান্ত করে প্রস্তুতি আরও গুছিয়ে নিতে হবে।
- গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে চিহ্নিত করতে হবে। তারপর সেগুলো ধাপে ধাপে শেষ করতে হবে।
- প্রতিদিন বাছাই করা টপিকগুলো অল্প অল্প করে পড়ার পাশাপাশি বেশি বেশি লিখতে হবে। কেননা ১০ বার পড়ার থেকে ১ বার লেখা অনেক বেশি কার্যকরী।
- পড়ার সময় নিজের ভালো লাগাকে প্রধান্য দিতে হবে। যখন পড়তে বসলে বা যা পড়লে দ্রুত মনে থাকবে কিংবা যে টপিক্সটা পড়তে মন চাচ্ছে সেটাই আগে পড়ে ফেলতে হবে। কারণ জোর করে কোন পড়া দীর্ঘ সময় স্মৃতিতে ধরে রাখা সম্ভব নয়।
- স্বপ্ন পূরণের পথে নেতিবাচক যা কিছু আছে, সেগুলো থেকে দূরে থাকতে হবে। সব সময় মনে রাখতে হবে আমি পারব। আমার দ্বারাই সম্ভব। কেননা বাকি যারা যুদ্ধে অংশ নিচ্ছে তারাও একটা মাথা, দুটি চোখ বিশিষ্ট। তবে সে পারলে, তুমি না কেন?
- তবে প্রস্তুতির ক্ষেত্রে নিজকে ওভার কনফিডেন্ট ভাবা যাবে না। দূর এগুলো তো আমি পারিই, সব মুখস্থই আছে, পরে একবার দেখলেই হবে- এমন চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। প্রতিদিনের কাজ প্রতিদিন শেষ করতে হবে।
- নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী প্রতিযোগী হিসেবে প্রস্তুত করতে হবে। সবার মতো হয়ে তুমি কখনো বিজয়ী হতে পারবে না। কারণ ব্যতিক্রমীরাই কেবল সফল হয়।
লেখক: রায়হান ইসলাম, শিক্ষার্থী ও সংবাদকর্মী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়