ভর্তি পরীক্ষার হলে যে কাজগুলো আপনাকে এগিয়ে রাখবে
২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রোফেশনালস (বিইউপি) এর ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (আইইউটি) ও মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার অল্প কিছুদিন বাকি। এই সময় শিক্ষার্থীরা ব্যস্ত নিজেকে প্রস্তুত করতে। তবে অনেক সময় ভালো পরীক্ষা দিয়েও কাঙ্খিত ফল পাওয়া যায় না। আবার অনেকে পরীক্ষার হলে গিয়ে প্রথমে কি করতে হবে সেটি বুঝে উঠতে পারেন না। আমাদের আজকের পর্বটি সাজানো হয়েছে মূলত পরীক্ষার হলে গিয়ে একজন শিক্ষার্থীকে কি করতে হবে বা কোন প্রশ্নের উত্তরটি আগে করতে হবে সেটির ওপর ভিত্তি করে।
পরীক্ষার দিন খুব সকালে ঘুম থেকে উঠতে হবে। যে কেন্দ্রে তোমার আসন পড়েছে সেখানে পরীক্ষা শুরুর অন্তত এক ঘণ্টা আগে পৌঁছানোর চেষ্টা করবে। যেখানে তোমার সিট পড়েছে, সেই হল খুলে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রবেশ করতে হবে। ধীর স্থির হয়ে বসে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেমন কলম, পেনসিল, ইরেজার, প্রবেশপত্র টেবিলের ওপর রাখতে হবে।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরীক্ষক প্রশ্নপত্র তোমাকে দিয়ে যাবে। এরপর থেকেই মূলত চ্যালেঞ্জ শুরু। প্রথমে পুরো প্রশ্নপত্র ভালোভাবে পড়ে দেখতে হবে। যে প্রশ্নগুলোর উত্তর তুমি শতভাগ নিশ্চিত সেগুলো পেন্সিল দিয়ে হালকা মার্ক করে রাখতে পারো। তবে বেশি ঘসামাজা করা যাবে না।
আরও পড়ুন: মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার আগের দিন ভর্তিচ্ছুদের করণীয়
পুরো প্রশ্নটি ভালোভাবে পড়া হয়ে গেলে নিশ্চিত জানা উত্তরগুলো পূরণ করবে। এক্ষেত্রে প্রথম ৩০ মিনিটে ৫৮-৬০টি এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ফেলতে হবে। পরবর্তী ২০ মিনিটে বাকি প্রশ্নগুলোর উত্তর করার চেষ্টা করতে হবে। শেষ ১০ মিনিটে রিভিশন দিতে হবে এবং যে প্রশ্নগুলোর উত্তর করা হয়নি সেগুলো দেখতে হবে। কোনো একটি প্রশ্ন না পারলে সেটির পেছনে অযথা সময় নষ্ট করা যাবে না।
একটি বিষয় মনে রাখতে হবে ভর্তি পরীক্ষা হচ্ছে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা। এখানে দশমিক ২৫ নম্বরও অনেক ব্যবধান গড়ে দিতে পারে। তাই পুরোপুরো নিশ্চিত না হয়ে কোনো প্রশ্নের উত্তর না দাগানোই ভালো। এছাড়া বৃত্তগুলো খুব সাবধানে ভরাট করতে হবে। বৃত্ত ঠিকভাবে ভরাট না করলে কম্পিউটারে সেটি কাউন্ট নাও করা হতে পারে। তাই এক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।