০৯ মার্চ ২০২২, ১০:০১

ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করতে টেক্সট বইয়ের বিকল্প নেই

সামিয়া আক্তার  © টিডিসি ফটো

ভর্তি পরীক্ষায় টেক্সট বই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। টেক্সট বই না পড়ে শুধু গাইড পড়লে হবে না। আগে টেক্সট বই শেষ করতে হবে। গাইড বই তো টেক্সট বইয়েরই গাইড। টেক্সট বই ছাড়া ভর্তি পরীক্ষায় কখনো ভালো করা যাবে না। পাশাপাশি সাম্প্রতিক বিষয়গুলো সর্ম্পকে জানাশোনা থাকতে হবে। এটাও গুরুত্বপূর্ণ। আসন্ন ভর্তি পরীক্ষায় ভর্তিচ্ছুদের পরামর্শ দিতে গিয়ে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে এসব কথা বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্রী সামিয়া আক্তার। তিনি ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছিলেন।

একজন ভর্তিচ্ছুকে কতক্ষণ পড়তে হবে এই প্রশ্নের জবাবে সামিয়া বলেন, খুব বেশি পড়ার দরকার নেই। রুটিন মেনে ধারাবাহিক পড়াশোনা জরুরি। নিজের জন্য যতটুকু পড়ার দরকার ততটুকুই পড়তে হবে। আমার পড়ার ধরণও এমন ছিলো।

তিনি বলেন, পরীক্ষার আগে নিজেকে যাচাই করে নিতে হবে। এজন্য বাসায় বারবার পরীক্ষা দিতে হবে। প্র্যাক্টিস করতে হবে। বারবার পরীক্ষা দিলে নিজের ভুলগুলো সহজে ধরা পড়ে। ফলে ভুলগুলো শুধরে নেয়ার সুযোগ থাকে। কনফিউশন দূর হয়।

আরও পড়ুন- ১০০-তে নম্বর ২.৫, চান্স হলো ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে 

লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতির বিষয়ে সামিয়া বলেন, লিখিত পরীক্ষায় ভালো করতে হলে নিয়মিত প্র্যাক্টিস করতে হবে। প্রতিদিনই কিছু না কিছু লিখতে হবে। বিশেষ করে ইংরেজিতে অনেকেরই একটা দুর্বলতা থাকে। সেজন্য নিজের জানা বিষয় বা বইয়ের যেকোনো টপিক ধরে নিজের ভাষায় লেখার চর্চা করতে হবে। তাহলে ভর্তি পরীক্ষার লিখিত অংশে ভালো ফল করা যাবে।

সামিয়া বলেন, ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে হাইপার হওয়া যাবে না। হতাশ হওয়া যাবে না। অন্য যেকোনো ৮/১০টা পরীক্ষার মতোই মনে করতে হবে। সৃষ্টিকর্তার ওপর ভরসা করতে হবে। নিয়মিত পড়াশোনা করেই ভালো ফল করা সম্ভব।

টেকনিক্যালি পড়ার ওপর জোর দিয়েছেন ঢাবির এই ছাত্রী। তিনি বলেন, ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করতে হলে খুব বেশি পড়তে হবে এই ধারণা ভুল। টেকনিক্যালি পড়তে হবে। সবকিছু পড়ার দরকার নাই। টেকনিক্যালি পড়লে দেখা যাবে অল্প পড়েও ভালো ফল করা যাবে। অন্যান্য পরীক্ষার তুলনায় ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিযোগিতা বেশি। তাই এখানে একটু বেশি পড়াশোনা করতে হবে। তবে আমি বলবো না যে, এতো ঘণ্টা পড়তে হবে। যে যার ক্যাপাসিটি অনুযায়ী পড়বে। পড়া শেষ করতে যার যতক্ষণ সময় লাগবে তার ততক্ষণ সময় নিতে হবে। মূলকথা পড়াটা শেষ করতে হবে।

আরও পড়ুন- স্কুলে নাও ফিরতে পারে এক কোটি ১০ লাখ মেয়ে : ইউনিসেফ

কোচিং খুব গুরুত্বপূর্ণ নয় বলেও মনে করেন গতবছর মেধাতালিকায় স্থান পাওয়া এই ছাত্রী। তিনি বলেন, কোচিং হলো একটা গাইড লাইন। যার কাছে গাইড লাইন আছে তার কোচিং না করলেও চলবে। আর যার কাছে এ বিষয়ে ধারণা নাই তার জন্য কোচিং সহায়ক হবে। এছাড়া যাদের জিপিএ কম আছে তাদের পড়াশোনা অন্যদের চেয়ে একটু বেশি করতে হবে। ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করে জিপিএ এর কম নম্বরের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব।