জাহাঙ্গীরনগরে চান্স পেতে কৌশলের বিকল্প নেই
পিতা-মাতা এবং প্রতিটি শিক্ষার্থীরই স্বপ্ন থাকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ও ভর্তিচ্ছুদের সে স্বপ্ন পূরণের অপেক্ষায় আছে। আশা করি, ভর্তিচ্ছুরা খুব ভালভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আজকে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্ততি নিয়ে সংক্ষিপ্ত কিছু পরামর্শ—
★গণিত
বিজ্ঞান বিভাগে ভার্সিটি এডমিশন সহায়ক যেকোনো ম্যাথ বই বিশেষ করে ম্যাথ প্লাস বইটা ভালোভাবে আয়ত্ত করলেই যথেষ্ট। প্রতিটি টাইপ ভিত্তিক ম্যাথগুলো মনে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। Calculus থেকে অনেকগুলো প্রশ্ন আসে প্রায়ই। calculus এ পূর্ণ প্রস্তুতি নিতে হবে৷
★পদার্থবিজ্ঞান: Physics এ ভালো করতে হলে Basics Concept গুলো clear থাকতে হবে। আমীর হোসেন অথবা শাহজাহান তপন স্যারের বইয়ে দেওয়া উদাহরণগুলো ভালোভাবে অনুশীলন করতে হবে। সাথে সাথে MCQ প্র্যাকটিসের জন্য সহায়ক বই হিসেবে বাজারে পাওয়া যায় এমন পছন্দমত অন্য যেকোনো বই পড়া যেতে পারে।
★রসায়ন: মূল বইটা এবং প্রশ্ন ব্যাংকটা সলভ করলে মোটামুটি ৮০-৯০% নম্বর তোলা সম্ভব রসায়নে। তবে আরেকটু ভালো করতে হলে হাজারী ও নাগ স্যারের রসায়ন ১ম পত্র এবং সন্জিত কুমার গুহ স্যারের রসায়ন ২য় পত্র ভালোভাবে পড়া যেতে পারে। রাসায়নিক বিক্রিয়ার ইকুয়েশনগুলো বারবার হাতে লিখে অনুশীলনের বিকল্প নেই। MCQ অনুশীলনের জন্য আমার পছন্দ Chemistry plus বই। তবে অন্য বই ভালো লাগলে পড়তে পারেন।
★IQ: বাজারে এ সম্পর্কিত কিছু বই পাওয়া যায়। ধারণা নেয়ার জন্য দুই-একটা কিনে পড়া যেতে পারে। তবে পরীক্ষার হলে IQ সম্পর্কিত প্রশ্ন একটু মাথা খাটালেই উত্তর দেওয়া সম্ভব।
★বাংলা: নবম-দশম শ্রেণীর বাংলা ২য় পত্র বইটি এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা প্রথম ও ২য় পত্রের সিলেবাস।
★ইংরেজী
* আগের পড়া একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর প্রথম পত্র মূল বইটি
*Appropriate Prepositions
* Idioms and Phrases
* Parts of speech and their classifications, Comparison of Adjective, Double Comparison, Illogical Comparison, Subject-verb Agreement, Right forms of verbs, Conditionals, Causative Verbs, Subjunctive, Dangling Modifier, Tag Question, Parallel Structure, Redundancy, Embedded Questions.
আর পরীক্ষার আগের ২-৩ মাসের কারেন্ট এফেয়ার্সগুলো এক নজর চোখ বুলিয়ে গেলে অনেকটা-ই আয়ত্তে চলে আসবে, ইনশাআল্লাহ।
বিঃদ্রঃ প্রতিটি বিষয়ের জন্য আলাদা নোট করতে হবে। নোটটি হবে সংক্ষিপ্ত বিবরণ টাইপের। প্রতিটি অধ্যায়ের যে টপিকগুলো মনে থাকে না; সেগুলো সংযুক্ত করতে হবে এই নোটে। পরীক্ষার আগের রাতে প্রতিটি বিষয়ের উপর একনজর চোখ বুলিয়ে নিতে এই নোটগুলো দারুণভাবে হেল্প করবে।
সর্বশেষে বলব, চেষ্টা এবং কৌশলের কোনো বিকল্প নেই। সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণে রেখে আপনারা চেষ্টা চালিয়ে যান, সাফল্য সন্নিকটে।
লেখক: শিক্ষার্থী, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।