শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি: ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন যাদের

এ বছর গুচ্ছ পদ্ধতিতে চুয়েট,কুয়েট,রুয়েট ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৩ই নভেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
এ বছর গুচ্ছ পদ্ধতিতে চুয়েট,কুয়েট,রুয়েট ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৩ই নভেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।  © টিডিসি ফটো

প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ভর্তি পরীক্ষা দেশের অন্যতম প্রতিযোগিতাপূর্ন পরীক্ষা। প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ প্রতিটি শিক্ষার্থীই মেধাবী। মূলত এখানের মেধাবীদের সাথে মেধাবীদের  কম্পিটিশন হবে। তাই প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেতে হলে ভালো প্রস্তুতির পাশাপাশি লক্ষ্যপূরণের প্রচন্ড মনোবল থাকতে হবে ও দৃঢ় আত্মবিশ্বাসী হতে হবে।

এ বছর গুচ্ছ পদ্ধতিতে চুয়েট, কুয়েট, রুয়েট ভর্তিপরীক্ষা আগামী ১৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই অল্প সময়ের মধ্যেই পরীক্ষার জন্য নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করতে হবে।

শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিয়ে কিছু পরামর্শঃ-

1)এই শেষ সময়টাতে পূর্বে যা পড়েছো, তা গুছিয়ে নিতে হবে। কোনো টপিকে দুর্বলতা থাকলে তা যতটুকু সম্ভব ঝালাই করে নিতে হবে। যেসব টপিকে ভালো প্রস্তুতি রয়েছে, তা পুনঃপুনঃ রিভিশন দিতে হবে।

২) Question bank: ভর্তি পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্য Question bank solve এর বিকল্প নেই। Question Bank Solve করলে তুমি question pattern সম্পর্কে idea পাবে৷ পাশাপাশি তোমার প্রস্তুতি & নিজের দুর্বলতাগুলো বুঝতে পারবে।

৩) কিছু Topics থেকে প্রতিবারই প্রশ্ন আসে— তা Question bank সমাধান করার সময়ই বুঝতে পারবে৷ ভালো ফলাফল অর্জন করতে হলে অনেক বেশী কৌশলী হতে হবে।

৪) বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতিঃ-
Math: Calculus থেকে অনেকগুলো প্রশ্ন আসে always। calculus এ পূর্ণ প্রস্তুতি নিতে হবে৷
বিন্যাস ও সমাবেশ, ফাংশন, সম্ভাবনা ও জটিল সংখ্যা এই chapter গুলো type ধরে ধরে পড়বা।
বৃত্ত, সরলরেখা & কনিক একত্রে পড়বা।
1st part & 2nd part এর ত্রিকোনোমিতি একত্রে পড়বা। বলবিদ্যার সাথে পদার্থবিজ্ঞান ও জ্বালিয়ে নিতে পারবে চাইলে।
এভাবে ভাগ ভাগ করে নিলে অল্প সময়েই ভালো প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব।

Physics 
Physics এ ভালো করতে হলে Basics Concept গুলো clear থাকতে হবে।
Physics 1st part:
গতি (প্রাস), ভেক্টর(নদীর ম্যাথ আর গাড়ির কাঁচ), নিউটনিয়ান বলবিদ্যা (জড়তার ভ্রামক, চক্র গতি, গতিশক্তি + কোনো গড়ায় পড়া জিনিসের ম্যাথ), মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ ( সুড়ঙ্গ পথে ছেড়ে দিলে বস্তুটি কেন্দ্রে পৌঁছাবে কি না টাইপ ম্যাথ), কাজ, শক্তি ও ক্ষমতা (পানি ব্লেডের উপর পড়ে, কূয়া)
তরঙ্গ (intensity base math, equation compare based math) আদর্শ গ্যাস ও গ্যাসের গতিতত্ত্ব (Dew point and velocity based math and depth of pond, sea etc (সমসত্ত্ব হবে কি হবে না কোনো স্থানের বায়ু এই টাইপ ম্যাথ)

Physics 2nd part: পরমাণুর মডেল ও নিউক্লিয়াস (Atomic models and nucleus) Decay, half-life types based math,

চল তড়িৎ (circuit solve Kirchoff's law), চৌম্বক আবেশ এবং চৌম্বক ক্ষেত্র (Magnetism and magnetic field based math), ভৌত আলোকবিজ্ঞান (Youngs' slit test, interference and intensity of light), আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান (time dilation, photoelectric effect, work function and maximum energy), তাপগতিবিদ্যা (entropy, and efficiency based math) এই topics গুলো জোর দিয়ে পড়বা।

Chemistry: সবচেয়ে কম সময়ে প্রিপারেশন সম্ভব রসায়নেই। একটু মনোযোগ দিয়ে মুল বইটা এবং প্রশ্ন ব্যাংকটা সলভ করলে মোটামুটি ৮০-৯০% মার্কস তোলা সম্ভব রসায়নে।

প্রথম পত্রের তৃতীয়, চতুর্থ, ২য় পত্রের ১ম, তৃতীয় ও চতুর্থ অধ্যায় থেকে অংক আসবে। প্রত্যেকটা অংকের নিয়ম ভালো করে দেখে আসো। এক্ষেত্রে হাজারী ও নাগ স্যারের বইটা ফলো করা যেতে পারে। কোয়ান্টাম নাম্বার রিলেটেড প্রশ্ন পাবে, সেটা খুব সহজেই উত্তর দিতে পারবা।

জৈব যৌগ হতে প্রচুর প্রশ্ন আসতে পারে। এই অংশটা-ই একটু কঠিন সবার জন্য। নামধারী বিক্রিয়া গুলো সব পড়তে হবে (যেমন রাইমার টাইমান, কোব বিক্রিয়া, টলেন বিকারক বিক্রিয়া ইত্যাদি।

ডেটল, মেনথল, প্যারাসিটামল, শেভিং ক্রিম, নেইল পলিশ, বিউটি ক্রিম ইত্যাদির সংকেত গুলো পড়বা। জৈব যৌগ পার্টে সুবিধা হলো, প্রচুর প্রশ্ন রিপিট হয়। লিথিয়াম ব্যাটারী, ফুয়েল সেল ইত্যাদির কিছু বিক্রিয়া রয়েছে, এগুলোও খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আবার কিছু প্রশ্ন আছে, যেমন- জুইটার আয়নের কার্যকলাপ, অর্ধ বিক্রিয়া কত প্রকার উদাহরণ সহ, তারপরে একটা নামকরন আসতে পারে। মোটামুটিভাবে বইয়ের অংক ও ইম্পরট্যান্ট থিওরি গুলো রিভিশন দিলে ভালো পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব। পাশাপাশি প্রশ্নব্যাংক তো আছেই।

পরিশেষে, তোমাদের সবার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।

লেখক: শিক্ষার্থী, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, চুয়েট


সর্বশেষ সংবাদ