বিভাগ নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছুদের লক্ষণীয় বিষয়গুলো
চলছে ভর্তিযুদ্ধ, ভর্তিচ্ছু ছাত্রছাত্রীরা সবসময়ই একটি ব্যাপার নিয়ে বেশ দ্বিধাদ্বন্ধে থাকে যা হলো বিষয় নির্বাচন। অনেকক্ষেত্রে দেখা যায় একজন আর একজনকে দেখে বিচার বিশ্লেষণ না করেই বিষয় নির্বাচন করে থাকে। সময়ের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবমুখী নতুন নতুন বিভাগ চালু করে। দেখা যায় সঠিক তথ্য না জানার কারণে সুযোগ পেয়েও এসব বাস্তবমুখী (চাকুরির বাজারে চাহিদা সম্পন্ন) বিষয় শিক্ষার্থীদের আড়ালে চলে যায়। আপনি যে বিষয় নির্বাচন করতে চাচ্ছেন পড়াশুনা শেষে সেই বিষয়ের চাহিদা ও প্রতিযোগীর সংখ্যা কেমন হতে পারে তা আগে থেকেই ভাবা উচিৎ। কারণ আপনি যখন ভর্তি হচ্ছেন তখনকার চাহিদার চেয়ে আপনি যখন পড়াশুনা শেষ করে বের হবেন ঐ বিষয়ের তখনকার চাহিদা এবং প্রতিযোগিতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
অনেক সময় দেখা যায় আমি এটা হবো ওটা হবো স্বপ্ন নিয়ে জোয়ারের স্রোতের মতই লক্ষ লক্ষ ছাত্রছাত্রী জেনে না জেনে একই বিষয় নির্বাচন করে থাকে। পড়াশুনা শেষে দেখা যায় পদবিহীন সার্টিফিকেটধারী পদবী নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কারণ লক্ষ লক্ষ প্রতিযোগীদের মধ্যে নিজেকে কাঙ্খিত অবস্থানে আর খোঁজে পাওয়া যায় না। সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করেছে এমন ৬৬ শতাংশ ছাত্রছাত্রী বেকার। যাই হোক বিভাগ নির্বাচনের ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি তা হলো:
১. বিষয়ভিত্তিক চাকুরির বাজার এবং ঐ বিভাগে পড়াশুনা সম্পন্ন করা ছাত্রছাত্রীদের বর্তমান অবস্থা।
২. চাকুরী না পেলেও ঐ বিষয়ে পড়াশুনার জ্ঞান কাজে লাগিয়ে উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ আছে কি না।
৩. উক্ত বিভাগের শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা (কতজন ডক্টরেট ডিগ্রী), গবেষণাপত্র, ও বাস্তব অভিজ্ঞতা সম্পন্ন।
৪. উক্ত বিভাগের সুযোগ সুবিধা বিশেষ করে গবেষণা সুবিধা ও একাডেমিক কাজকর্মের ধারাবাহিকতা।
৫. সর্বোপরি বিভাগের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিকতা ইত্যাদি ।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, খাদ্য প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা বিভাগ স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।