বার বার প্রিলি ফেলের কারণ ১৯টি
আগামীকাল শুক্রবার (১৯ মার্চ) ৪১তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার প্রথম ধাপে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে গিয়ে হোঁচট খেতে হয় অনেককে। সাধারণ কিছু অভ্যাস বা ভুলের কারণে এমনটি ঘটে। নিজেকে গোছিয়ে প্রস্তুত করতে পারলেই ধরা দিবে কাঙ্ক্ষিত সফলতা। এ বিষয়ে ১৯টি কারণ লিখেছেন— ঊর্মি চৌধুরী
১) দুনিয়ার হাবিজাবি অনেক কিছু পড়েন কিন্তু সিস্টেমেটিক সিলেবাস ফলো করে কখনো পড়েননি। যা প্রিলি ফেল হওয়ার অন্যতম কারণ।
২) আজ পড়ব কাল পড়ব করতে করতে এক পর্যায়ে প্রিলি পরীক্ষা কখন এসে গেল সেটা টেরও পেলেন না। তখন তাড়াহুড়ো করে প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষা দিতে যান। যা প্রিলি পাসের অন্যতম বাধা।
৩) কোথায় থেকে পড়াগুলো শুরু করবেন তা বুঝেননি। সেজন্য এলোমেলো পড়তে থাকেন। আজ গণিত পড়লে কাল বিজ্ঞান পড়েন। এখানে রুটিন সিস্টেম ফলো করেননি।
৪) বই কিনতে কিনতে একপর্যায়ে একটা বইয়ের লাইব্রেরী গড়ে ফেললেন। তবুও বইয়ের পাতা খুলে পড়তে আপনার মন বসেনি।
৫) আড্ডাবাজ, ফেসবুকিং এমনতকি আলসেমি করার কারণে মূল পড়া শেষ করা হয়নি। যার জন্য চরম ধরা খেতে হয়।
৬) অতি পণ্ডিতের কারণে ভাবেন, ধুর! আজ না হলে কাল শেষ করব। এভাবে শেষ করব করব বলে আর শেষ হয়ে কখনো উঠেনি।
৭) কঠিন, কি করব, এতোগুলো পড়া কিভাবে গোছানো যায় তা নিয়ে সবসময় চিন্তা করেন। যার প্রভাব আপনার ব্যক্তির ক্ষেত্রে নেতিবাচক হিসেবে পড়ে।
৮) প্রিলি পরীক্ষা হওয়ার ১৫/১০ দিন আগে পড়াগুলো গুছিয়ে নিতে পারেননি। তখন অন্যপড়া নিয়ে টানাটানি করতে থাকেন।
৯) প্রিলি পাস করবেন নাকি করবেন না তা নিয়ে বেশি টেনশন করেন। সে সাথে নিজেকে বেশি প্রেসার দেন। যার প্রভাব প্রিলিতে পড়ে।
১০) প্রিলি পরীক্ষা হওয়ার ঠিক আগের রাতে টেনশনের কারণে না ঘুমিয়ে পরীক্ষা দিতে যান। এতে হলে গিয়ে খুব মানসিক চাপ নিয়ে পরীক্ষা দেন।
১১) প্রিলিতে কতটুকু বা কত নাম্বার দাগিয়ে আসবেন তা আগে থেকে নিজে নিজে সিদ্ধান্ত নেননি। যার কারণে লোভ সামলাতে না পেরে এক নাগাড়ে দাগিয়ে ফেলেন। যার ফলে নেগেটিভ মার্কিং ফাঁদে পড়েন।
১২) পরীক্ষার কেন্দ্রে সময়কে প্রাধান্য দেননি। এজন্য আস্তে আস্তে দাগাতে গিয়ে ঘন্টা পড়ার কারণে কখন যে পারা জিনিসগুলোও ভরাট করতে পারেননি তা টের পাননি।
১৩) কনফিউজড প্রশ্ন দাগাতে বেশি করে রিস্ক নেন। যার কারণে নেগেটিভ মার্কিং ফাঁদে পড়েন।
১৪) যে প্রশ্নটি জানেন না সে প্রশ্ন নিয়ে ভরাট করব নাকি করব না তা নিয়ে বেশি সময় অপচয় করেন।
১৫) হলে গিয়ে বেশি এক্সাইটেড হোন যার কারণে জানা প্রশ্নও অজানা হয়ে যায়।
১৬) নির্দিষ্ট নাম্বার (১২০) পর্যন্ত দাগাবো এ মনমানসিকতা আপনার নেই।
১৭) আমার দ্বারা বিসিএস হবে না, বিসিএস খুব কঠিন জিনিস বলে অন্যদের মত ফরম পূরণ করে স্বাভাবিক প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষা দিতে যান।
১৮) আমি মেধাবী না, আমি অমুক না, আমি সমুক না এই বলে নিজেকে প্রাধান্য না দিয়ে পরীক্ষা দিতে যান।
১৯) ধুর, এ বছর এমনিতে নামে করে বিসিএস পরীক্ষা দিব। পরের বছর একদম ফাটিয়ে ফেলব বলে মূল্যবান বছরটাকে নষ্ট করে উড়িয়ে দেন। যা একইভাবে পরের বছরও সেভাবে পুনরাবৃত্তি ঘটে।
বি.দ্র. এগুলো পালন করতে পারলে প্রিলি নিঃসন্দেহে পাশ করতে পারবেন।