মেডিকেল-বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পাওয়ার কিছু টেকনিক
প্রিয় ভর্তিযোদ্ধা বন্ধুরা, তোমরা অনেকেই মেডিকেল-বুয়েট ও গুচ্ছসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ভর্তি প্রস্তুতি নিচ্ছো ৷ ভর্তি পরীক্ষায় কোন জায়গা থেকে যে প্রশ্ন আসবে সেটা বলা মুশকিল। তাই ছোট খাটো টপিকসগুলোও বুঝে পড়তে হবে। চান্স পাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু টেকনিক কাজে লাগাতে হয়।ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে শেয়ার করলাম।
১) প্রথমেই যেটা করণীয় সেটা হল, তোমার ঠিক কোথায় প্যাশন সেটার সঠিক মনস্থির করা।
২) যদি ডাক্তার হওয়ার সুপ্ত বাসনা থাকে তাহলে রসায়ন, জীববিজ্ঞান বইয়ের কোন কিছুই বাদ দেওয়া যাবেনা। পদার্থবিজ্ঞানের বিভিন্ন একক, মাত্রা সমীকরন, মাত্রা, ছোটখাটো অংক, আর দুই একটা সংজ্ঞা দেখতে পারো।
ইংলিশ এর জন্য- Parts of speech, Article, Tense, Voice, Narration, Correction, Right form of verbs, Translation, Synonyms, Antonyms, Transformation of sentences, Joining sentence, Comprehension প্রভৃতি বিষয় ভালোভাবে পড়তে হবে। পাশাপাশি ইংরেজ কবি ও সাহিত্যিক, বিশেষ করে যাদের লেখা এইচএসসির সিলেবাসে রয়েছে তাদের জীবন ও সাহিত্যকর্ম, লেখার বিষয়, উদ্ধৃতি ইত্যাদি খুঁটিনাটি বিষয়ও মনে রাখতে হবে। বাকি রইলো সাধারণ জ্ঞান। সাধারণ জ্ঞানের জন্য সাম্প্রতিক ঘটনা ও বাংলাদেশ বিষয়াবলি পড়তে হবে।
৩) যদি মনে বাসনা থাকে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার তাহলে পরিশ্রমটা একটু বেশিই করতে হবে। এক্ষেত্রে মুখস্ত পড়া বেশি কাজে আসবে না। যে যত গাণিতিক সমস্যা সমাধান করবে সে ততটাই এগিয়ে থাকবে। তাই যেটা করা জরুরি সেটা হল পদার্থ, রসায়নের বেশি বেশি গাণিতিক সমস্যা সমাধান করা। গাণিতিক পদার্থ বিজ্ঞান, গাণিতিক রসায়ন নামে বই আছে। এই দুইটা বই আশা করি খুবই কাজে আসবে। আর অংক মূল বইটা করতে হবে সব বুঝে বুঝে। ইঞ্জিনিয়ারিং প্রিপারেশন এর ক্ষেত্রে প্রশ্নব্যাংক টা ভালই কাজে আসবে। প্রশ্নব্যাংক থেকে অনুশীলন করলে মেধা বিকশিত হবে, মনোবল বাড়বে।
৪) এবার আসি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় প্রস্তুতির ব্যাপারে। আসলে যারা ইঞ্জিনিয়ারিং প্রিপারেশন নেয় তারা অধিকাংশই বিশ্ববিদ্যালয়ে টিকে যায়। এর কারণ হচ্ছে তাদের তো পুরো বই নলেজে থাকে। তো প্রথমেই করণীয় হল প্রশ্নব্যাংক টা দেখে ধারণা নেওয়া যে,কেমন প্রশ্ন আসতে পারে। তারপর মূল বই থেকে বেশি বেশি আসা টপিকস গুলো পড়তে হবে। তারপর প্রশ্নব্যাংক থেকে সেই অধ্যায়ের প্রশ্নগুলো পড়তে হবে।
অনেকেই জিজ্ঞাসা করে, ভাইয়া দৈনিক কত ঘন্টা পড়লে মেডিকেল-বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়া যাবে? আসলে এইটা ঠিক বলা যায়না। যার সক্ষমতা যতটুকু সে সেভাবে পড়বে। একজন অল্প পড়েই মনে রাখতে পারলে তার কম পড়লেও হবে। আবার যার অনেকবার পড়া লাগে এক পড়া তার ক্ষেত্রে একটু বেশিই পড়তে হবে।
আমার মতামত হলো যার মেধা যাই হোক, ভর্তি পরীক্ষায় সময়গুলো কাজে লাগানোই উচিত। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমো, ভাইবার একটু কম চালিয়ে পড়তে হবে এক মনে। তাহলেই কাঙ্খিত সাফল্য আসবে। বিশ্ববিদ্যালয়-মেডিকেলে চান্স পেয়ে গেলে অনেক সময় পাবে জীবন উপভোগের জন্য।
তাই আর দেরি কেন? আজ থেকেই শুরু করে দাও। যথাযথ প্রিপারেশন নিলে সাফল্য আসতে বাধ্য।
লেখক: সিইও, ডিইউ মেনটরস